No item in cart.
তিনি বলেন যে, আমরা আবদুল্লাহ ইব্ন আব্বাস (রাঃ)–এর নিকট উপবিষ্ট ছিলাম, তিনি বললেনঃ আল্লাহ্র শপথ, অন্য লোকদের বাদ দিয়ে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বিশেষভাবে কোন বিষয়ে বলেনি, তিনটি বিষয় ব্যতীতঃ (১) তিনি আমাদেরকে পূর্ণরূপে উযূ করার নির্দেশ দিয়েছেন; (২) আমাদেরকে সাদকা খেতে নিষেধ করেছেন এবং (৩) নিষেধ করেছেন গাধাকে ঘোড়ার উপর পাল দিতে।
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو جَهْضَمٍ قَالَ: حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كُنَّا جُلُوسًا إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ: " وَاللَّهِ مَا خَصَّنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشَيْءٍ دُونَ النَّاسِ إِلَّا بِثَلَاثَةِ أَشْيَاءَ: فَإِنَّهُ أَمَرَنَا أَنْ نُسْبِغَ الْوُضُوءَ، وَلَا نَأْكُلَ الصَّدَقَةَ، وَلَا نُنْزِيَ الْحُمُرَ عَلَى الْخَيْلِ "
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ তোমরা পূর্ণরূপে উযূ করবে।
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ هِلَالِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ أَبِي يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَسْبِغُوا الْوُضُوءَ»
রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আমি কি তোমাদের এমন বস্তুর সন্ধান দিব না, যা দ্বারা আল্লাহ্ তা’আলা গুনাহসমূহ দুর করে দেবেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন ? তা হলো, কষ্ট অবস্থায়ও পূর্ণরূপে উযূ করা, মসজিদের দিকে অধিক পদচালনা করা, আর এক সালাতের পর অন্য সালাতের অপেক্ষায় থাকা। এটাই রিবাত, এটাই রিবাত, এটাই রিবাত। [১]
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ الْعَلَاءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " أَلَا أُخْبِرُكُمْ بِمَا يَمْحُو اللَّهُ بِهِ الْخَطَايَا، وَيَرْفَعُ بِهِ الدَّرَجَاتِ: إِسْبَاغُ الْوُضُوءِ عَلَى الْمَكَارِهِ، وَكَثْرَةُ الْخُطَا إِلَى الْمَسَاجِدِ، وَانْتِظَارُ الصَّلَاةِ بَعْدَ الصَّلَاةِ، فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ فَذَلِكُمُ الرِّبَاطُ "
[১] রিবাতের মূল অর্থ হচ্ছে শত্রুকে প্রতিরোধ করার জন্য সীমান্তে সর্বদা প্রহরারত অবস্থায় থাকা। আর মন ও শয়তানের শত্রুতা ও কুমন্ত্রণা সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থাকাকেও রিবাত বলা হয়। - অনুবাদক
তাঁরা ‘সুলাসিল’ যুদ্ধে যোগদান করেছিলেন কিন্তু যুদ্ধ করার সুযোগ পান নি। পরে তাঁরা শত্রুর মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত রইলেন এবং মুআবিয়া (রাঃ)–এর নিকট প্রত্যাবর্তন করলেন। তখন তাঁর নিকট আবূ আইয়ুব এবং উকবা ইব্ন আমির ছিলেন। তখন আসিম বললেন, হে আবূ আইয়ুব ! এ বৎসর আমরা যুদ্ধের সুযোগ পেলাম না। আর আমাদের সংবাদ দেয়া হয়েছে যে, যে ব্যক্তি চারটি মসজিদে সালাত আদায় করবে, তার পাপ মার্জনা করা হবে। তিনি বললেন, হে ভাতিজা! আমি কি তোমাকে এর চেয়ে সহজতর পন্থা বলে দেব না ? আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)–কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি নির্দেশ মুতাবিক উযূ করবে আর নির্দেশ মুতাবিক সালাত আদায় করবে, তার পূর্বেকার পাপ ক্ষমা করা হবে। সত্যি কি তাই হে উকবা ? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, তাই।
أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ سُفْيَانَ الثَّقَفِيِّ: أَنَّهُمْ غَزَوْا غَزْوَةَ السُّلَاسِلِ فَفَاتَهُمُ الْغَزْوُ فَرَابَطُوا، ثُمَّ رَجَعُوا إِلَى مُعَاوِيَةَ وَعِنْدَهُ أَبُو أَيُّوبَ وَعُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ، فَقَالَ عَاصِمٌ: يَا أَبَا أَيُّوبَ فَاتَنَا الْغَزْوُ الْعَامَ، وَقَدْ أُخْبِرْنَا أَنَّهُ مَنْ صَلَّى فِي الْمَسَاجِدِ الْأَرْبَعَةِ غُفِرَ لَهُ ذَنْبُهُ. فَقَالَ: يَا ابْنَ أَخِي، أَدُلُّكَ عَلَى أَيْسَرَ مِنْ ذَلِكَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ تَوَضَّأَ كَمَا أُمِرَ، وَصَلَّى كَمَا أُمِرَ غُفِرَ لَهُ مَا قَدَّمَ مِنْ عَمَلٍ» أَكَذِلَكَ يَا عُقْبَةُ؟ قَالَ: نَعَمْ
তিনি আবূ বুরদা (রহঃ)–কে মসজিদে এ মর্মে সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি উসমান (রাঃ)–কে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ্র নির্দেশ মুতাবিক উযূ সম্পন্ন করবে, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত তার মধ্যবর্তী সময়ের পাপসমূহের জন্য কাফফারা স্বরূপ গণ্য হবে।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى قَالَ: حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ جَامِعِ بْنِ شَدَّادٍ قَالَ: سَمِعْتُ حُمْرَانَ بْنَ أَبَانَ أَخْبَرَ أَبَا بُرْدَةَ فِي الْمَسْجِدِ أَنَّهُ سَمِعَ عُثْمَانَ يُحَدِّثُ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ أَتَمَّ الْوُضُوءَ كَمَا أَمَرَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ، فَالصَّلَوَاتُ الْخَمْسُ كَفَّارَاتٌ لِمَا بَيْنَهُنَّ»