× CART

No item in cart.

সুনানে আন-নাসায়ী

পরিচ্ছদঃ ১৫ | হাদিসের বিষয়: ইস্তিস্কা (বৃষ্টির জন্য দোয়া করা)

১৫/১৫১৪: (হস্তদ্বয়) কিভাবে উঠাবেন?

তিনি রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে “আহজারুয্‌যায়ত” নামক স্থানে ইস্তিস্কা করতে দেখেছিলেন। তখন তিনি হস্তদ্বয় উঠিয়ে দোয়া করেছিলেন।

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ خَالِدِ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ، عَنْ آبِي اللَّحْمِ، أَنَّهُ «رَأَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عِنْدَ أَحْجَارِ الزَّيْتِ يَسْتَسْقِي وَهُوَ مُقْنِعٌ بِكَفَّيْهِ يَدْعُو»

বর্ণনাকারীঃ আবিল লাহ্‌ম (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

১৫/১৫১৫: (হস্তদ্বয়) কিভাবে উঠাবেন?

তিনি আনাস মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন যে, একদা আমরা জুম‘আর দিনে মসজিদে ছিলাম এবং রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মানুষের সামনে খুতবা দিচ্ছিলেন, একজন লোক দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! গরমের আধিক্য হেতু রাস্তা ঘাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, গবাদি পশুগুলো অকর্মণ্য হয়ে যাচ্ছে এবং শহরে দ্রব্য মূল্যও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতএব আপনি আল্লাহর সমীপে দোয়া করুন যেন তিনি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করেন। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর উভয় হাত মুখমনণ্ডল বরাবর উঠালেন এবং বললেন, ইয়া আল্লাহ, তুমি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর। আল্লাহর শপথ! তিনি মিম্বর থেকে তখনও অবতরণ করেছিলেন না। ইত্যবসরে আমাদের বৃষ্টি দ্বারা পরিতৃপ্ত করে দেওয়া হলো এবং ঐ দিন থেকে পরবর্তী জুমু‘আ পর্যন্ত আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হলো। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়াল, আমি জানি না যে, সে ঐ ব্যক্তি যে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে বলেছিল “আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণের জন্য দোয়া করুন” না অন্য ব্যক্তি সে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! পানির আধিক্যের কারণে রাস্তাঘাট তো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং গবাদি পশুগুলোও অকর্মণ্য হয়ে যাচ্ছে। অতএব আপনি আল্লাহ্‌র সমীপে দোয়া করুন যেন আমাদের উপর লোক বৃষ্টি বন্ধ করে দেন। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, ইয়া আল্লাহ! (তুমি বৃষ্টি) আমাদের আশে পাশে বর্ষণ কর, আমাদের উপর নয় বরং পাহাড়ের উপর এবং গাছের গোড়ায়। তারপর তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই দোয়া করতেই মেঘমালা এমনভাবে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে গেল যে, আমরা তার কিছুই দেখতে পেলাম না।

أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدٍ وَهُوَ الْمَقْبُرِيُّ، عَنْ شَرِيكِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّهُ سَمِعَهُ يَقُولُ: بَيْنَا نَحْنُ فِي الْمَسْجِدِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ النَّاسَ، فَقَامَ رَجُلٌ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، تَقَطَّعَتِ السُّبُلُ، وَهَلَكَتِ الْأَمْوَالُ، وَأَجْدَبَ الْبِلَادُ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَسْقِيَنَا، فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ حِذَاءَ وَجْهِهِ، فَقَالَ: «اللَّهُمَّ اسْقِنَا»، فَوَاللَّهِ مَا نَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْمِنْبَرِ حَتَّى أُوسِعْنَا مَطَرًا، وَأُمْطِرْنَا ذَلِكَ الْيَوْمَ إِلَى الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى، فَقَامَ رَجُلٌ لَا أَدْرِي هُوَ الَّذِي قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اسْتَسْقِ لَنَا أَمْ لَا، فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، انْقَطَعَتِ السُّبُلُ، وَهَلَكَتِ الْأَمْوَالُ مِنْ كَثْرَةِ الْمَاءِ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يُمْسِكَ عَنَّا الْمَاءَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا، وَلَكِنْ عَلَى الْجِبَالِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ»، قَالَ: وَاللَّهِ مَا هُوَ إِلَّا أَنْ تَكَلَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِذَلِكَ تَمَزَّقَ السَّحَابُ حَتَّى مَا نَرَى مِنْهُ شَيْئًا
---
[حكم الألباني] حسن صحيح

বর্ণনাকারীঃ শরীক ইব্‌ন আব্দুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

১৫/১৫১৬: দোয়ার উল্লেখ

যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, হে আল্লাহ্‌! তুমি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর।

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو هِشَامٍ الْمُغِيرَةُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ: حَدَّثَنِي وُهَيْبٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اللَّهُمَّ اسْقِنَا»

বর্ণনাকারীঃ আনাস ইব্‌ন মালিক (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

১৫/১৫১৭: দোয়ার উল্লেখ

তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জুম‘আর দিন খুৎবা দিচ্ছিলেন। এমন সময় কতক মানুষ দাঁড়িয়ে গেল, তারা চিৎকার করে বলতে লাগল, ইয়া নবীয়াল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেছে এবং চতুষ্পদ জন্তুগুলো অকর্মণ্য হয়ে যাচ্ছে, অতএব আপনি আল্লাহ্‌ তা‘আলার সমীপে দোয়া করুন যেন তিনি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করেন। তিনি বললেন, ইয়া আল্লাহ্‌! তুমি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর। ইয়া আল্লাহ! তুমি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর। আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমরা আকাশে মেঘের কোন চিহ্নও দেখছিলাম না। তিনি বলেন, ইত্যবসরে মেঘ সৃষ্টি হলো, তারপর তা বিক্ষিপ্ত হয়ে গেল, পরে তা (আমাদের উপর) বর্ষিত হল। তারপর রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নীচে নেমে আসলেন এবং সালাত আদায় করলেন। আর মানুষেরা সালাত শেষ করে ফিরে গেল। তারপর পরবর্তী জুমু‘আ পর্যন্ত অনবরত বৃষ্টি বর্ষিত হতে লাগল। যখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) খুৎবা দেওয়ার জন্য দাঁড়ালেন, মানুষ চিৎকার করে বলতে লাগল, ইয়া নবীয়াল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)! (পানির আধিক্য হেতু) বাড়ী ঘরতো ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অতএব আপনি আল্লাহ্‌র সমীপে দোয়া করুন যেন তিনি আমাদের থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দেন। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুচকী হেসে বললেন, হে আল্লাহ! তুমি আমাদের আশে পাশে বৃষ্টি বর্ষণ কর; আমাদের উপরে নয়। তখন মদীনা থেকে মেঘমালা বিক্ষিপ্ত হয়ে গেল, আর মদীনার আশে পাশে বৃষ্টি হচ্ছিল কিন্তু মদীনায় এক ফোঁটাও বৃষ্টি হচ্ছিল না। তখন আমি মদীনার দিকে তাকিয়ে দেখলাম যে, মদীনা মেঘমালার চক্র বু্হ্যের মাঝখানে অবস্থিত।

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، قَالَ: سَمِعْتُ عُبَيْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ وَهُوَ الْعُمَرِيُّ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَقَامَ إِلَيْهِ النَّاسُ فَصَاحُوا، فَقَالُوا: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، قَحَطَتِ الْمَطَرُ، وَهَلَكَتِ الْبَهَائِمُ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَسْقِيَنَا، قَالَ: «اللَّهُمَّ اسْقِنَا، اللَّهُمَّ اسْقِنَا» قَالَ: وَايْمُ اللَّهِ، مَا نَرَى فِي السَّمَاءِ قَزَعَةً مِنْ سَحَابٍ قَالَ: فَأَنْشَأَتْ سَحَابَةٌ فَانْتَشَرَتْ، ثُمَّ إِنَّهَا أُمْطِرَتْ، وَنَزَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَلَّى، وَانْصَرَفَ النَّاسُ فَلَمْ تَزَلْ تَمْطُرُ إِلَى يَوْمِ الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى، فَلَمَّا قَامَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ صَاحُوا إِلَيْهِ، فَقَالُوا: يَا نَبِيَّ اللَّهِ، تَهَدَّمَتِ الْبُيُوتُ، وَتَقَطَّعَتِ السُّبُلُ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَحْبِسَهَا عَنَّا، فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ: «اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا» فَتَقَشَّعَتْ عَنِ الْمَدِينَةِ، فَجَعَلَتْ تَمْطُرُ حَوْلَهَا وَمَا تَمْطُرُ بِالْمَدِينَةِ قَطْرَةً، فَنَظَرْتُ إِلَى الْمَدِينَةِ وَإِنَّهَا لَفِي مِثْلِ الْإِكْلِيلِ

বর্ণনাকারীঃ আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

১৫/১৫১৮: দোয়ার উল্লেখ

এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করল, তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়ানো অবস্থায় খুতবা দিচ্ছিলেন, সে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! (ঘাস বিচালির সংকট হেতু) চতুষ্পদ জন্তুগুলো অকর্মণ্য হয়ে যাচ্ছে, (গরমের আধিক্য হেতু) রাস্তাঘাটও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অতএব আল্লাহ তা‘আলার সমীপে দোয়া করুন, তিনি যেন আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করেন। তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হস্তদ্বয় উঠালেন এবং বললেন, ইয়া আল্লাহ্‌! তুমি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর, ইয়া আল্লাহ! তুমি আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ কর। আনাস (রাঃ) বলেন, আমরা তখন আকাশে কোন মেঘ বা মেঘের টুকরা দেখছিলাম না, আর আমাদের “সালআ” পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে কোন ঘর-বাড়ীও ছিল না। হঠাৎ থালের ন্যায় একখণ্ড মেঘ প্রকাশ পেল, যখন তা মধ্যাকাশে পৌছল, বিস্তৃত হয়ে গেল এবং তা বৃষ্টির আকারে বর্ষিত হতে লাগল। আনাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহ্‌র শপথ! আমরা এক সপ্তাহ অবধি সূর্য দেখেছিলাম না। তিনি বলেন, তারপর পরবর্তী জুমু‘আয় ঐ দরজা দিয়ে অন্য এক ব্যক্তি প্রবেশ করল, তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাঁড়ানো অবস্থায় খুতবা দিচ্ছিলেন। সে রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সামনে তাঁর দাঁড়ানো অবস্থায় আসলো এবং বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ্‌! বৃষ্টির আধিক্য হেতু চতুষ্পদ জন্তুগুলো অকর্মণ্য হয়ে যাচ্ছে এবং রাস্তাঘাটও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অতএব আল্লাহ্‌ তা‘আলার সমীপে দোয়া করুন যেন তিনি আমাদের উপর থেকে বৃষ্টি বন্ধ করে দেন, তখন রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর হস্তদ্বয় উঠালেন এবং বললেন, ইয়া আল্লাহ্‌! তুমি আমাদের আশে পাশে বৃষ্টি বর্ষণ কর, আমাদের উপর নয়। ইয়া আল্লাহ! পাহাড় এবং টিলার চূড়ায় চূড়ায় উপত্যকার মাঝে মাঝে এবং গাছপালার গোড়ায় গোড়ায় (বর্ষণ কর)। আনাস (রাঃ) বলেন, তারপর বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেল, আর আমরা সূর্যের আলোতে হেঁটে হেঁটে বের হলাম। রাবী শরীফ (রহঃ) বলেন, আমি আনাস (রাঃ)-কে প্রশ্ন করলাম সে ব্যক্তি কি পূর্বের ব্যক্তি ছিল? তিনি বললেন, না।

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ رَجُلًا دَخَلَ الْمَسْجِدَ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ يَخْطُبُ، فَاسْتَقْبَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمًا وَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلَكَتِ الْأَمْوَالُ، وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يُغِيثَنَا، فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ أَغِثْنَا، اللَّهُمَّ أَغِثْنَا»، قَالَ أَنَسٌ: وَلَا وَاللَّهِ مَا نَرَى فِي السَّمَاءِ مِنْ سَحَابَةٍ وَلَا قَزَعَةٍ وَمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ سَلْعٍ مِنْ بَيْتٍ وَلَا دَارٍ، فَطَلَعَتْ سَحَابَةٌ مِثْلُ التُّرْسِ، فَلَمَّا تَوَسَّطَتِ السَّمَاءَ انْتَشَرَتْ وَأَمْطَرَتْ، قَالَ أَنَسٌ: وَلَا وَاللَّهِ مَا رَأَيْنَا الشَّمْسَ سَبْتًا، قَالَ: ثُمَّ دَخَلَ رَجُلٌ مِنْ ذَلِكَ الْبَابِ فِي الْجُمُعَةِ الْمُقْبِلَةِ وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَائِمٌ يَخْطُبُ، فَاسْتَقْبَلَهُ قَائِمًا فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ وَسَلَّمَ عَلَيْكَ، هَلَكَتِ الْأَمْوَالُ، وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يُمْسِكَهَا عَنَّا، فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَيْهِ، فَقَالَ: «اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الْآكَامِ وَالظِّرَابِ، وَبُطُونِ الْأَوْدِيَةِ، وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ»، قَالَ: فَأَقْلَعَتْ، وَخَرَجْنَا نَمْشِي فِي الشَّمْسِ قَالَ شَرِيكٌ: سَأَلْتُ أَنَسًا: أَهُوَ الرَّجُلُ الْأَوَّلُ؟ قَالَ: لَا
---
[حكم الألباني] حسن صحيح

বর্ণনাকারীঃ আনাস ইব্‌ন মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ

Showing 11 - 15 of 25 Hadiths
//
TOP