No item in cart.
কুতাইবাহ্ ইবনু সা’ঈদ ও ‘উসমান ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ... আ’মাশ (রহঃ) হতে উপরোল্লিখিত সূ্রেত হুবহু বর্ণনা করেছেন। (ই.ফা. ৫৬৪১, ই.সে. ৫৬৭১)
وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، فِي هَذَا الإِسْنَادِ بِمِثْلِهِ .
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক ‘মুহ্রিম’ লোককে মিনায় একটি সাপ হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
(ই.ফা. ৫৬৪২, ই.সে. ৫৬৭২)
وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا حَفْصٌ، - يَعْنِي ابْنَ غِيَاثٍ - حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَمَرَ مُحْرِمًا بِقَتْلِ حَيَّةٍ بِمِنًى .
তিনি বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে একটি (পাহাড়ী) গুহায় অবস্থান করছিলাম। বাকী অংশ জারীর (রহঃ) ও আবূ মু’আবিয়াহ্ (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের মতই।
(ই.ফা. ৫৬৪৩, ই.সে. ৫৬৭৩)
وَحَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ بَيْنَمَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي غَارٍ . بِمِثْلِ حَدِيثِ جَرِيرٍ وَأَبِي مُعَاوِيَةَ .
তিনি আবূ সা’ঈদ খুদ্রী (রাঃ) -এর নিকট তাঁর গৃহে ঢুকলেন। তিনি বলেন, সে সময় আমি তাঁকে সলাতরত অবস্থায় পেলাম এবং তাঁর সলাত শেষ করা পর্যন্ত তাঁর অপেক্ষায় বসে থাকলাম। সে সময় গৃহের কোণে রেখে দেয়া খেজুর ডালের স্তুপের মাঝে কিচু একটার নড়াচড়ার শব্দ শুনতে পেলাম। আমরা দেখতে পেলাম যে, এটি একটি সাপ। আমি সেটিকে হত্যা করার জন্য লাফ দেয়ার জন্য প্রস্তুত হলাম। তখন তিনি (সলাতে থেকেই) ইঙ্গিত করলেন যে, বসে থাকে। সলাত সমাপ্ত করে গৃহের একটি ঘরের দিকে ইশারা করে বললেন, এ ঘরটি কি তুমি দেখতে পাচ্ছ? আমি বললাম, হ্যাঁ! তিনি বললেন, সেখানে নববিবাহিত আমাদের এক যুবক থাকত। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর সঙ্গে খন্দক যুদ্ধে বের হলাম। ঐ যুবক মধ্যাহ্নের সময় রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট অনুমতি চেয়ে নিত এবং তার পরিবারের নিকট ফিরে যেত। একদিন সে (যথারীতি) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট অনুমতি কামনা করলে তিনি তাকে বললেন, তোমার যুদ্ধাস্ত্র তোমার সঙ্গে নিয়ে যাও। কারণ, আমি তোমার উপরে বানূ কুরাইযাহ্ (ইয়াহূদীদের আক্রমণ) -এর সংশয়করছি। ব্যক্তিটি তার অস্ত্র নিয়ে (গৃহে) প্রত্যাবর্তন করল। সেখানে সে তার (সদ্য বিবাহিতা) স্ত্রীকে দু’দরজার মাঝে দণ্ডায়মান অবন্থায় লক্ষ্য করল এবং (তার প্রতি সন্দিহান হয়ে) তাকে বল্লম দিয়ে আঘাত হানার উদ্দেশে তা তার দিকে স্থির করে ধরল। আত্মসম্মানবোধ তাকে পেয়ে বসেছিল। তখন সে (স্ত্রী) বলল, তোমার বল্লমটি নিজের নিকট সংযত রাখো এবং ঘরে প্রবেশ করো। তুমি যাতে তা দেখতে পারো, যা আমাকে বের হতে বাধ্য করেছে। সে গৃহে ঢুকেই দেখতে পেল যে, এক বিশালাকার সাপ বিছানার উপরে কুণ্ডলী পাকিয়ে রয়েছে। সে এর প্রতি বল্লম স্থিত করে তার মাধ্যমে এটিকে গেঁথে ফেলল। অতঃপর বের হয়ে তা (বল্লমটি) বাড়ীর মধ্যেই পুঁতে রাখল। সে সময় তা নড়ে চড়ে তাকে ছোবল মারলো এবং (ক্ষণিকের মধ্যে) সাপ কিংবা যুবক এ দু’জনের কে বেশী দ্রুত মৃত্যুবরণকারী ছিল তা আঁচ করা গেল না। বর্ণনাকারী [আবূ সা’ঊদ (রাঃ)] বলেন, আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর কাছে যেয়ে ঘটনাটি বিবরণ দিয়ে তাঁকে বললাম, আপনি আল্লাহর নিকট দু’আ করুন, তিনি যেন আমাদের মাঝে তাকে আবার তাজা করে দেন। সে সময় তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের সঙ্গীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো। তারপর বললেন, মাদীনায় কিছু জিন রয়েছে, যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে। তাই, (সাপ ইত্যাদিরূপে) তাদের কিয়দংশ তোমরা লক্ষ্য করলে তাকে তিন দিন সাবধান সংকেত দিবে; তারপরে তোমাদের সম্মুখে (তা) প্রকাশ পেলে তাকে হত্যা করবে। কারণ, সে একটি (অবাধ্য) শাইতান, (অর্থাৎ, সে মুসলিম নয়)।
(ই.ফা. ৫৬৪৪, ই.সে. ৫৬৭৪)
وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَحْمَدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ سَرْحٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ صَيْفِيٍّ، - وَهُوَ عِنْدَنَا مَوْلَى ابْنِ أَفْلَحَ - أَخْبَرَنِي أَبُو السَّائِبِ، مَوْلَى هِشَامِ بْنِ زُهْرَةَ أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فِي بَيْتِهِ قَالَ فَوَجَدْتُهُ يُصَلِّي فَجَلَسْتُ أَنْتَظِرُهُ حَتَّى يَقْضِيَ صَلاَتَهُ فَسَمِعْتُ تَحْرِيكًا فِي عَرَاجِينَ فِي نَاحِيَةِ الْبَيْتِ فَالْتَفَتُّ فَإِذَا حَيَّةٌ فَوَثَبْتُ لأَقْتُلَهَا فَأَشَارَ إِلَىَّ أَنِ اجْلِسْ . فَجَلَسْتُ فَلَمَّا انْصَرَفَ أَشَارَ إِلَى بَيْتٍ فِي الدَّارِ فَقَالَ أَتَرَى هَذَا الْبَيْتَ فَقُلْتُ نَعَمْ . قَالَ كَانَ فِيهِ فَتًى مِنَّا حَدِيثُ عَهْدٍ بِعُرْسٍ - قَالَ - فَخَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْخَنْدَقِ فَكَانَ ذَلِكَ الْفَتَى يَسْتَأْذِنُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِأَنْصَافِ النَّهَارِ فَيَرْجِعُ إِلَى أَهْلِهِ فَاسْتَأْذَنَهُ يَوْمًا فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خُذْ عَلَيْكَ سِلاَحَكَ فَإِنِّي أَخْشَى عَلَيْكَ قُرَيْظَةَ " . فَأَخَذَ الرَّجُلُ سِلاَحَهُ ثُمَّ رَجَعَ فَإِذَا امْرَأَتُهُ بَيْنَ الْبَابَيْنِ قَائِمَةً فَأَهْوَى إِلَيْهَا الرُّمْحَ لِيَطْعُنَهَا بِهِ وَأَصَابَتْهُ غَيْرَةٌ فَقَالَتْ لَهُ اكْفُفْ عَلَيْكَ رُمْحَكَ وَادْخُلِ الْبَيْتَ حَتَّى تَنْظُرَ مَا الَّذِي أَخْرَجَنِي . فَدَخَلَ فَإِذَا بِحَيَّةٍ عَظِيمَةٍ مُنْطَوِيَةٍ عَلَى الْفِرَاشِ فَأَهْوَى إِلَيْهَا بِالرُّمْحِ فَانْتَظَمَهَا بِهِ ثُمَّ خَرَجَ فَرَكَزَهُ فِي الدَّارِ فَاضْطَرَبَتْ عَلَيْهِ فَمَا يُدْرَى أَيُّهُمَا كَانَ أَسْرَعَ مَوْتًا الْحَيَّةُ أَمِ الْفَتَى قَالَ فَجِئْنَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ وَقُلْنَا ادْعُ اللَّهَ يُحْيِيهِ لَنَا . فَقَالَ " اسْتَغْفِرُوا لِصَاحِبِكُمْ " . ثُمَّ قَالَ " إِنَّ بِالْمَدِينَةِ جِنًّا قَدْ أَسْلَمُوا فَإِذَا رَأَيْتُمْ مِنْهُمْ شَيْئًا فَآذِنُوهُ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ فَإِنْ بَدَا لَكُمْ بَعْدَ ذَلِكَ فَاقْتُلُوهُ فَإِنَّمَا هُوَ شَيْطَانٌ " .
তিনি বলেন, আমরা আবূ সা’ঈদ খুদ্রী (রাঃ) -এর নিকট গমন করলাম। আমরা উপবিষ্ট ছিলাম, এমতাবস্থায় অকস্মাৎ তাঁর খাটের নীচে একটা নড়াচড়ার শব্দ শুনতে পেলাম। তাকিয়ে দেখি যে, সেটা একটা সাপ... ঘটনা সহ হাদীসটি (পূর্বোল্লিখিত) সাইফী (রহঃ) হতে মালিক (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের হুবহু বর্ণনা করেছেন। কিন্তু এতে তিনি বলেছেন যে, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন; এসব গৃহে আরও কতক অধিবাসী রয়েছে। সুতরাং সে রকমের কোন কিছু তোমরা লক্ষ্য করলে তাদের প্রতি তিনবার সাবধান বাণী উচ্চারণ করবে, এতে যদি (তারা) চলে যায় তো ভাল! নতুবা তোমরা তাকে হত্যা করবে। কারণ সে কাফির (অবাধ্য)। আর তিনি তাদের (মৃত ব্যক্তির অভিভাবকদের) বললেন, তোমরা চলে যাও এবং তোমাদের সঙ্গীকে দাফন করো। (ই.ফা. ৫৬৪৫, ই.সে. ৫৬৭৫)
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ أَسْمَاءَ بْنَ عُبَيْدٍ، يُحَدِّثُ عَنْ رَجُلٍ، يُقَالُ لَهُ السَّائِبُ - وَهُوَ عِنْدَنَا أَبُو السَّائِبِ - قَالَ دَخَلْنَا عَلَى أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ فَبَيْنَمَا نَحْنُ جُلُوسٌ إِذْ سَمِعْنَا تَحْتَ، سَرِيرِهِ حَرَكَةً فَنَظَرْنَا فَإِذَا حَيَّةٌ . وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِقِصَّتِهِ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ عَنْ صَيْفِيٍّ وَقَالَ فِيهِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لِهَذِهِ الْبُيُوتِ عَوَامِرَ فَإِذَا رَأَيْتُمْ شَيْئًا مِنْهَا فَحَرِّجُوا عَلَيْهَا ثَلاَثًا فَإِنْ ذَهَبَ وَإِلاَّ فَاقْتُلُوهُ فَإِنَّهُ كَافِرٌ " . وَقَالَ لَهُمُ " اذْهَبُوا فَادْفِنُوا صَاحِبَكُمْ " .