× CART

No item in cart.

সহিহ মুসলিম

পরিচ্ছদঃ ৪০ | হাদিসের বিষয়: সালাম

৪০/৫৬২৪: চোখলাগা, পার্শ্বঘা, বিষাক্ত প্রাণীর বিষক্রিয়া ও দুরাবস্থা হতে (মুক্তির জন্য) ঝাড়ফুঁক করা মুস্তাহাব

তিনি বলেন, রসুলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (এক সময়) ঝাড়ফুঁক নিষিদ্ধ করে দিলেন। অতঃপর ‘আমর ইবনু হাযম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা এসে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আমাদের নিকট একটি ঝাড়ফুঁক ছিল, যা দিয়ে আমরা বিচ্ছুর ছোবলে ঝাড়ফুঁক করতাম, এখন আপনি তো ঝাড়ফুঁক নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। বর্ণনাকারী [জাবির (রাঃ)] বলেন, তারা তা তাঁর নিকট উপস্থাপন করল। তখন তিনি বললেন, কোন সমস্যা দেখতে পাচ্ছি না তোমাদের মধ্যে যে কেউ তার ভাইয়ের কোনও উপকার করতে সমর্থ হলে সে যেন তার উপকার করে।
(ই.ফা. ৫৫৪৩, ই.সে. ৫৫৬৮)

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الرُّقَى فَجَاءَ آلُ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ كَانَتْ عِنْدَنَا رُقْيَةٌ نَرْقِي بِهَا مِنَ الْعَقْرَبِ وَإِنَّكَ نَهَيْتَ عَنِ الرُّقَى ‏.‏ قَالَ فَعَرَضُوهَا عَلَيْهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ مَا أَرَى بَأْسًا مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ أَنْ يَنْفَعَ أَخَاهُ فَلْيَنْفَعْهُ ‏"‏ ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

৪০/৫৬২৫: শিরক মুক্ত ঝাড়ফুঁকে কোন দোষ নেই

তিনি বলেন, আমরা জাহিলী (মূর্খতার) যুগে (বিভিন্ন) মন্ত্র দিয়ে ঝাড়ফুঁক করতাম। এজন্যে আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আবেদন করলাম-হে আল্লাহর রসূল! এক্ষেত্রে আপনার মতামত কি? তিনি বললেন, তোমাদের মন্ত্রগুলো আমার নিকট উপস্থাপন করো, ঝাড়ফুঁকে কোন দোষ নেই-যদি তাতে কোন শিরক (জাতীয় কথা) না থাকে।
(ই.ফা. ৫৫৪৪, ই.সে. ৫৫৬৯)

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ الأَشْجَعِيِّ، قَالَ كُنَّا نَرْقِي فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ تَرَى فِي ذَلِكَ فَقَالَ ‏ "‏ اعْرِضُوا عَلَىَّ رُقَاكُمْ لاَ بَأْسَ بِالرُّقَى مَا لَمْ يَكُنْ فِيهِ شِرْكٌ ‏"‏ ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ ‘আওফ ইবনু মালিক আশজা’ঈ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

৪০/৫৬২৬: কুরআন মাজীদ এবং অন্যান্য দু‘আ-যিকর দিয়ে ঝাড়ফুঁক করে বিনিময় গ্রহণ বৈধ

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কিছু সংখ্যক সহাবী কোন এক সফরে ছিলেন, তাঁরা কোন একটি আরব সম্প্রদায়ের বসতির নিকট দিয়ে রাস্তা অতিক্রমকালে তাদের নিকট মেহমানদারীর ব্যাপারে বললেন। কিন্তু তারা তাদের আতিথেয়তা করল না। পরে তাদেরকে তারা বলল, তোমাদের দলে কি কোন ঝাড়ফুঁককারী আছে? কারণ, বসতির সর্দারকে সাপে দংশন করেছেন অথবা (বর্ণনাকারীর সংশয়ে তারা বলল-) বিপদগ্রস্থ হয়েছে। সে সময় এক লোক বলল, হ্যাঁ। তারপরে সে তার নিকট গমন করে সূরা আল আল-ফাতিহাহ্ দ্বারা ঝাড়ফুঁক করল। যার দরুন ব্যক্তিটি ভাল হয়ে গেল এবং ঝাড়ফুঁককারীকে বকরীর একটি ক্ষুদ্র পাল দেয়া হলো। সে তা নিতে আপত্তি জানালো এবং সে বলল, যতক্ষন তা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট বর্ণনা না করি-(ততক্ষন গ্রহণ করতে পারি না)। অতঃপর সে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে বিষয়টি তাঁর নিকট বর্ণনা করে সে বলল, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর শপথ! আমি ফাতিহাতুল কিতাব ছাড়া ভিন্ন কোন কিছু দিয়ে ঝাড়ফুঁক করিনি। সে সময় তিনি মৃদু হাসঁলেন এবং বললেন, তুমি কি করে বুঝলে যে, তা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করা যায়? অতঃপর বললেন, তাদের নিকট থেকে তা নিয়ে নাও এবং তোমাদের সঙ্গে আমার জন্যও একাংশ রেখো।
(ই.ফা. ৫৫৪৫, ই.সে. ৫৫৭০)

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ نَاسًا، مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانُوا فى سَفَرٍ فَمَرُّوا بِحَىٍّ مِنْ أَحْيَاءِ الْعَرَبِ فَاسْتَضَافُوهُمْ فَلَمْ يُضِيفُوهُمْ ‏.‏ فَقَالُوا لَهُمْ هَلْ فِيكُمْ رَاقٍ فَإِنَّ سَيِّدَ الْحَىِّ لَدِيغٌ أَوْ مُصَابٌ ‏.‏ فَقَالَ رَجُلٌ مِنْهُمْ نَعَمْ فَأَتَاهُ فَرَقَاهُ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَبَرَأَ الرَّجُلُ فَأُعْطِيَ قَطِيعًا مِنْ غَنَمٍ فَأَبَى أَنْ يَقْبَلَهَا ‏.‏ وَقَالَ حَتَّى أَذْكُرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ ‏.‏ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ مَا رَقَيْتُ إِلاَّ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ ‏.‏ فَتَبَسَّمَ وَقَالَ ‏"‏ وَمَا أَدْرَاكَ أَنَّهَا رُقْيَةٌ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ خُذُوا مِنْهُمْ وَاضْرِبُوا لِي بِسَهْمٍ مَعَكُمْ ‏"‏ ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

৪০/৫৬২৭: কুরআন মাজীদ এবং অন্যান্য দু‘আ-যিকর দিয়ে ঝাড়ফুঁক করে বিনিময় গ্রহণ বৈধ

তিনি বলেন, যে (ওঝা) উম্মুল কুরআন-সূরা আল-ফাতিহাহ্ পাঠ করতে লাগল এবং তার থু-থু একত্রে করে থুক দিতে লাগল। ফলে ব্যক্তিটি সুস্থ হয়ে গেল।
(ই.ফা ৫৫৪৬, ই.সে. ৫৫৭১)

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ نَافِعٍ كِلاَهُمَا عَنْ غُنْدَرٍ، مُحَمَّدِ بْنِ جَعْفَرٍ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ وَقَالَ فِي الْحَدِيثِ فَجَعَلَ يَقْرَأُ أُمَّ الْقُرْآنِ وَيَجْمَعُ بُزَاقَهُ وَيَتْفُلُ فَبَرَأَ الرَّجُلُ ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ আবূ বিশর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

৪০/৫৬২৮: কুরআন মাজীদ এবং অন্যান্য দু‘আ-যিকর দিয়ে ঝাড়ফুঁক করে বিনিময় গ্রহণ বৈধ

তিনি বলেন, আমরা একটি স্থানে নামলাম। অতঃপর আমাদের নিকট একটি মহিলা এসে বলল, এলাকার সর্দারকে সাপে কেটেছে, তোমাদের মাঝে কি কোন ঝাড়ফুঁককারী আছে? সে সময় আমাদের এক লোক উঠে তার সাথে গেল- সে যে সুন্দর ঝাড়ফুঁক করতে পারে তা আমাদের জানা ছিল না। সে সূরা আল-ফাতিহা দ্বারা তাকে ঝাড়ফুঁক করল। এতে সে সুস্থ হয়ে গেল। তখন তারা তাকে একপাল বকরী দিল এবং আমাদের দুধ পান করাল। আমরা বললাম, তুমি কি ভাল ঝাড়ফুঁক করতে জানতে? সে বলল, আমি তো সূরা আল-ফাতিহাহ্ ব্যতীত আর কিছু দিয়ে তাকে ঝাড়ফুঁক করিনি। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি বললাম, তোমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট গমন না করা পর্যন্ত ঐ বকরীগুলোকে এখান হতে নিয়ে যেওনা। তারপরে আমরা রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট এসে তাঁর নিকট তা পেশ করলাম। তিনি বললেন, সে-কি করে বুঝল যে, এ সূরাটি দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা যায়? তোমরা বকরীগুলো বন্টন করে নাও এবং আমার জন্যে তোমাদের সাথে একটি অংশ রেখ।
(ই.ফা. ৫৫৪৭, ই.সে. ৫৫৭২)

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَخِيهِ، مَعْبَدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ نَزَلْنَا مَنْزِلاً فَأَتَتْنَا امْرَأَةٌ فَقَالَتْ إِنَّ سَيِّدَ الْحَىِّ سَلِيمٌ لُدِغَ فَهَلْ فِيكُمْ مِنْ رَاقٍ فَقَامَ مَعَهَا رَجُلٌ مِنَّا مَا كُنَّا نَظُنُّهُ يُحْسِنُ رُقْيَةً فَرَقَاهُ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَبَرَأَ فَأَعْطَوْهُ غَنَمًا وَسَقَوْنَا لَبَنًا فَقُلْنَا أَكُنْتَ تُحْسِنُ رُقْيَةً فَقَالَ مَا رَقَيْتُهُ إِلاَّ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ لاَ تُحَرِّكُوهَا حَتَّى نَأْتِيَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ فَأَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرْنَا ذَلِكَ لَهُ ‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ مَا كَانَ يُدْرِيهِ أَنَّهَا رُقْيَةٌ اقْسِمُوا وَاضْرِبُوا لِي بِسَهْمٍ مَعَكُمْ ‏"‏ ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

Showing 86 - 90 of 216 Hadiths
//
TOP