× CART

No item in cart.

সুনানে আবু দাউদ

পরিচ্ছদঃ ১৩ | হাদিসের বিষয়: তালাক

১৩/২৩০৫: ইদ্দাত পালনকারিণী ইদ্দাতকালে যা বর্জন করবে

তার স্বামী মারা যান। তখন তার চোখে অসুখ থাকায় তিনি ইসমিদ সুরমা ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে তিনি তার এক দসীকে উম্মু সালমাহ (রাঃ)-এর নিকট প্রেরণ করে তাকে ইসমিদ সুরমা ব্যবহার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘তুমি কোন সুরমাই লাগাবে না। একান্তই প্রয়োজন হলে রাতের বেলা সুরমা লাগাবে এবং দিনের বেলায় তা মুছে ফেলো। উম্মু সালমাহ (রাঃ) বলেন, (আমার প্রাক্তন স্বামী) আবূ সালামাহ মারা গেলে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার নিকট আসলেন। এ সময় আমি চোখে ‘সিবর’ (গাছের রস) লাগিয়েছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ হে উম্মু সালামাহ! এটা কি? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! এটা ‘সিবর’। এতে কোন খোশবু নেই। তিনি বললেনঃ এটা চেহারাকে রঞ্জিত করে। কাজেই তুমি তা কেবলমাত্র রাতের বেলা ব্যবহার করবে এবং দিনের বেলা তা মুছে ফেলবে। আর মাথার চুলে কোন সুগন্ধি মেখে আঁচড়াবে না এবং মেহেদি লাগাবে না, কারণ এটাও এক প্রকার খিযাব। তিনি (উম্মু সালামাহ) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, তবে আমি মাথায় কি ব্যবহার করে চুল আঁচড়বো হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ তোমার মাথায় কুল পাতা লেপে নিবে। [২৩০৫]

দুর্বলঃ যঈফ সুনান নাসায়ী (২৩০/৩৫৩৭)।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي مَخْرَمَةُ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ الضَّحَّاكِ، يَقُولُ أَخْبَرَتْنِي أُمُّ حَكِيمٍ بِنْتُ أُسَيْدٍ، عَنْ أُمِّهَا، أَنَّ زَوْجَهَا، تُوُفِّيَ وَكَانَتْ تَشْتَكِي عَيْنَيْهَا فَتَكْتَحِلُ بِالْجَلاَءِ - قَالَ أَحْمَدُ الصَّوَابُ بِكُحْلِ الْجَلاَءِ - فَأَرْسَلَتْ مَوْلاَةً لَهَا إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ فَسَأَلَتْهَا عَنْ كُحْلِ الْجَلاَءِ فَقَالَتْ لاَ تَكْتَحِلِي بِهِ إِلاَّ مِنْ أَمْرٍ لاَ بُدَّ مِنْهُ يَشْتَدُّ عَلَيْكِ فَتَكْتَحِلِينَ بِاللَّيْلِ وَتَمْسَحِينَهُ بِالنَّهَارِ ‏.‏ ثُمَّ قَالَتْ عِنْدَ ذَلِكَ أُمُّ سَلَمَةَ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ تُوُفِّيَ أَبُو سَلَمَةَ وَقَدْ جَعَلْتُ عَلَى عَيْنِي صَبِرًا فَقَالَ ‏"‏ مَا هَذَا يَا أُمَّ سَلَمَةَ ‏"‏ ‏.‏ فَقُلْتُ إِنَّمَا هُوَ صَبِرٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَيْسَ فِيهِ طِيبٌ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِنَّهُ يَشُبُّ الْوَجْهَ فَلاَ تَجْعَلِيهِ إِلاَّ بِاللَّيْلِ وَتَنْزِعِينَهُ بِالنَّهَارِ وَلاَ تَمْتَشِطِي بِالطِّيبِ وَلاَ بِالْحِنَّاءِ فَإِنَّهُ خِضَابٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ قُلْتُ بِأَىِّ شَىْءٍ أَمْتَشِطُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ ‏"‏ بِالسِّدْرِ تُغَلِّفِينَ بِهِ رَأْسَكِ ‏"‏ ‏.‏

[২৩০৫] নাসায়ী, বায়হাক্বী। সানাদে মুগীরাহ বিন যাহ্হাক রয়েছে। হাফিয বলেন : মাক্ববূল।

বর্ণনাকারীঃ উসাইদের কন্যা উম্মু হাকীম (রহঃ) তার মায়ের সুত্র থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ

১৩/২৩০৬: গর্ভবতীর ইদ্দাত

তার পিতা ‘উমার ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু আরক্বাম আয-যুহরীকে এ মর্মে নির্দেশ প্রদান করেন যে, তিনি যেন আল হারীস আল-আসলামীর মেয়ে সুবাইয়ার নিকট গিয়ে তাকে তার হাদীসের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন, এবং তিনি রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিকট ফাতাওয়াহ জানতে চাইলে তিনি তাকে কি উত্তর দিয়েছিলেন তাও যেন জিজ্ঞেস করেন। ‘উমার ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবুন ‘উতবাহকে জানালেন, সুবাইয়া (রাঃ) তাকে জানিয়েছেন যে, তিনি সা’দ ইবনু খাওলাহ্‌ (রাঃ) এর বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। আর তিনি ছিলেন আমির ইবনু লুয়াঈ গোত্রের লোক এবং অন্যতম বদরী সাহাবী। তিনি গর্ভবতী অবস্থায় তার স্বামী বিদায় হাজ্জ্বের সময় মারা যান। তার মৃত্যুর কিছুদিন পরে তার সন্তান প্রসব হয়। তিনি নিফাসমুক্ত হওয়ার পর বিয়ের প্রস্তাবের আশার সাজসজ্জা করেন। তখন ‘আবদুদ-দার গোত্রীয় আবুস সানাবিল ইবনু বা’কাক তার নিকট এসে বললো, আমি যে তোমাকে সুসজ্জিত দেখছি, তুমি কি বিয়ের ইচ্ছা করো? আল্লাহর শপথ! চার মাস দশ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত তুমি কোথাও বিয়ে করতে পারবে না। সুবাইয়া (রাঃ) বলেন, তিনি আমাকে একথা বললে আমি আমার পোশাক গুটিয়ে সন্ধ্যার সময় রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহ ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট গমন করে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করি। তিনি আমাকে বললেন, ‘আমি তখনই হালাল হয়েছি যখন আমি সন্তান জন্ম দিয়েছি। তিনি আমাকে নির্দেশ দিলেন, আমি ইচ্ছা করলে বিয়ে বসতে পারি। ইবনু শিহাব (রহঃ) বলেন, সন্তান প্রসবের পর তার বিয়ে বসাতে আমি কোন দোষ দেখি না, যদিও তার নিফাসের রক্ত চালু রয়েছে। তবে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তার স্বামী তার সাথে সহবাস করবে না।

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، كَتَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ الزُّهْرِيِّ يَأْمُرُهُ أَنْ يَدْخُلَ، عَلَى سُبَيْعَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ الأَسْلَمِيَّةِ فَيَسْأَلَهَا عَنْ حَدِيثِهَا وَعَمَّا قَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ اسْتَفْتَتْهُ فَكَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ يُخْبِرُهُ أَنَّ سُبَيْعَةَ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ سَعْدِ ابْنِ خَوْلَةَ - وَهُوَ مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ وَهُوَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا - فَتُوُفِّيَ عَنْهَا فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَهِيَ حَامِلٌ فَلَمْ تَنْشَبْ أَنْ وَضَعَتْ حَمْلَهَا بَعْدَ وَفَاتِهِ فَلَمَّا تَعَلَّتْ مِنْ نِفَاسِهَا تَجَمَّلَتْ لِلْخُطَّابِ فَدَخَلَ عَلَيْهَا أَبُو السَّنَابِلِ بْنُ بَعْكَكٍ - رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ - فَقَالَ لَهَا مَا لِي أَرَاكِ مُتَجَمِّلَةً لَعَلَّكِ تَرْتَجِينَ النِّكَاحَ إِنَّكِ وَاللَّهِ مَا أَنْتِ بِنَاكِحٍ حَتَّى تَمُرَّ عَلَيْكِ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرٌ ‏.‏ قَالَتْ سُبَيْعَةُ فَلَمَّا قَالَ لِي ذَلِكَ جَمَعْتُ عَلَىَّ ثِيَابِي حِينَ أَمْسَيْتُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ فَأَفْتَانِي بِأَنِّي قَدْ حَلَلْتُ حِينَ وَضَعْتُ حَمْلِي وَأَمَرَنِي بِالتَّزْوِيجِ إِنْ بَدَا لِي ‏.‏ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ وَلاَ أَرَى بَأْسًا أَنْ تَتَزَوَّجَ حِينَ وَضَعَتْ وَإِنْ كَانَتْ فِي دَمِهَا غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يَقْرَبُهَا زَوْجُهَا حَتَّى تَطْهُرَ ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ ‘উবাইদুল্লাহ ইবনু ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উতবাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

১৩/২৩০৭: গর্ভবতীর ইদ্দাত

তিনি বলেন, যে ব্যক্তি লি’আন করতে চায় আমি তার সাথে তা করতে প্রস্তুত আছি। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি যে, সূরাহ আন-নিসা যা তালাকের সূরাহ হিসেবেও পরিচিত, “চার মাস দশদিন” সম্পর্কিত আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পরেই অবতীর্ণ হয়।

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، - قَالَ عُثْمَانُ حَدَّثَنَا وَقَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ، أَخْبَرَنَا - أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ مَنْ شَاءَ لاَعَنْتُهُ لأُنْزِلَتْ سُورَةُ النِّسَاءِ الْقُصْرَى بَعْدَ الأَرْبَعَةِ الأَشْهُرِ وَعَشْرًا ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

১৩/২৩০৮: উম্মু ওয়ালাদের উদ্দাত

তিনি বলেন, তোমরা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাতকে আমাদের জন্য সংশয়পূর্ণ করো না। ইবনুল মুসান্না (রঃ) বলেন, আমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সুন্নাত অনুযায়ী উম্মু ওয়ালাদের ইদ্দাতকালও চার মাস দশ দিন।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ جَعْفَرٍ، حَدَّثَهُمْ ح، وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ مَطَرٍ، عَنْ رَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، قَالَ لاَ تَلْبِسُوا عَلَيْنَا سُنَّتَهُ - قَالَ ابْنُ الْمُثَنَّى سُنَّةَ نَبِيِّنَا - صلى الله عليه وسلم عِدَّةُ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرٌ ‏.‏ يَعْنِي أُمَّ الْوَلَدِ ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ ‘আমর ইবনুল ‘আস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

১৩/২৩০৯: তিন তারাকপ্রাপ্ত‍া নারী, দ্বিতীয় স্বামী গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রথম স্বামী তার নিকট ফিরে আসতে পারবে না।

তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দেয়, ফলে ঐ মহিলা অন্য এক পুরুষকে বিয়ে করলে সে তার সাথে নির্জনবাস করার পর সঙ্গম না করেই তাকে তালাক প্রদান করেছে। এখন ঐ মহিলা কি তার প্রথম স্বামীর জন্য বৈধ? তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ সে প্রথম স্বামীর জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত হালাল নয় যতক্ষণ পরস্পর পরস্পরের মধুর স্বাদ গ্রহন (সহবাস) না করবে।

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ رَجُلٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ - يَعْنِي ثَلاَثًا - فَتَزَوَّجَتْ زَوْجًا غَيْرَهُ فَدَخَلَ بِهَا ثُمَّ طَلَّقَهَا قَبْلَ أَنْ يُوَاقِعَهَا أَتَحِلُّ لِزَوْجِهَا الأَوَّلِ قَالَتْ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تَحِلُّ لِلأَوَّلِ حَتَّى تَذُوقَ عُسَيْلَةَ الآخَرِ وَيَذُوقَ عُسَيْلَتَهَا ‏"‏ ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

Showing 131 - 135 of 138 Hadiths
//
TOP