× CART

No item in cart.

সুনানে আবু দাউদ

পরিচ্ছদঃ ১৩ | হাদিসের বিষয়: তালাক

১৩/২২৬০: সন্তান সম্পর্কে সন্দেহ করা

তিনি বলেন, বনু ফাযারাহ্‌র জনৈক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাছে এসে বললো, আমার স্ত্রী একটি কালো সন্তান জন্ম দিয়েছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ তোমার কাছে কিছু উট আছে? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ সেগুলো কোন বর্ণের? সে বললো, লাল। তিনি পুনরায় জিজ্ঞেস করলেনঃ সেগুলোর মধ্যে ছাই বর্ণেরও উটও তো আছে? সে বললো, হ্যাঁ সেগুলোর মধ্যে ছাই বর্ণেরও আছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ আচ্ছা এ রং কোথা থেকে এলো বলোতো? লোকটি বললো, সম্ভবত বংশগত কারণে। তিনি বললেনঃ তোমার এ বাচ্চার বর্ণে পূর্বপুরুষের কারো বর্ণের প্রভাব পড়েছে।

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي خَلَفٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَنِي فَزَارَةَ فَقَالَ إِنَّ امْرَأَتِي جَاءَتْ بِوَلَدٍ أَسْوَدَ فَقَالَ ‏"‏ هَلْ لَكَ مِنْ إِبِلٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا أَلْوَانُهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ حُمْرٌ قَالَ ‏"‏ فَهَلْ فِيهَا مِنْ أَوْرَقَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ إِنَّ فِيهَا لَوُرْقًا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَأَنَّى تُرَاهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عَسَى أَنْ يَكُونَ نَزَعَهُ عِرْقٌ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ وَهَذَا عَسَى أَنْ يَكُونَ نَزَعَهُ عِرْقٌ ‏"‏ ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

১৩/২২৬১: সন্তান সম্পর্কে সন্দেহ করা

এই সানাদে উক্ত হাদীসের অনুরূপ বিষয়বস্তুসহ বর্ণিত। তিনি বলেনঃ তখন লোকটি ইঙ্গিতে সন্তানকে অস্বীকার করেছে।

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ قَالَ وَهُوَ حِينَئِذٍ يُعَرِّضُ بِأَنْ يَنْفِيَهُ ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

১৩/২২৬২: সন্তান সম্পর্কে সন্দেহ করা

একদা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট এক বেদুইন এসে বললো, আমার স্ত্রী একটি কালো সন্তান প্রসব করেছে, আমি তা অস্বীকার করি। বর্ণনাকারী পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ অর্থে বর্ণনা করেন।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ أَعْرَابِيًّا، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ امْرَأَتِي وَلَدَتْ غُلاَمًا أَسْوَدَ وَإِنِّي أُنْكِرُهُ ‏.‏ فَذَكَرَ مَعْنَاهُ ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

১৩/২২৬৩: ঔরসজাত সন্তান অস্বীকার করা জঘন্য অন্যায়

লি’আনের আয়াত অবতীর্ণ হলে তিনি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে বলতে শুনেছেনঃ যে মহিলা কোন বংশের মধ্যে (এমন সন্তান) প্রবেশ করালো যার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই সে মহিলা আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত হবে এবং আল্লাহ তাকে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করাবেন না। আর যে পুরুষ নিজ সন্তানকে অস্বীকার করে, অথচ বাচ্চা তার মমতার আকাঙ্খা করে, মহান আল্লাহও তার থেকে আড়ালে থাকবেন। এবং ক্বিয়ামাতের দিন পুর্বাপর সমল মানুষের সামনে তাকে অপমানিত করবেন। [২২৬৩]

দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (২২২১), যঈফ সুনান ইবনু মাজাহ (৬০১), মিশকাত (৩৩১৬)। যঈম সুনান নাসায়ী (২২৯/৩৪৮১)।

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، - يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ - عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ حِينَ نَزَلَتْ آيَةُ الْمُتَلاَعِنَيْنِ ‏ "‏ أَيُّمَا امْرَأَةٍ أَدْخَلَتْ عَلَى قَوْمٍ مَنْ لَيْسَ مِنْهُمْ فَلَيْسَتْ مِنَ اللَّهِ فِي شَىْءٍ وَلَنْ يُدْخِلَهَا اللَّهُ جَنَّتَهُ وَأَيُّمَا رَجُلٍ جَحَدَ وَلَدَهُ وَهُوَ يَنْظُرُ إِلَيْهِ احْتَجَبَ اللَّهُ مِنْهُ وَفَضَحَهُ عَلَى رُءُوسِ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ ‏"‏ ‏.‏

[২২৬৩] নাসায়ী, ইবনু মাজাহ, দারিমী, বায়হাক্বী, হাকিম। শায়খ আলবানী বলেন: ‘তার অবস্থা অজ্ঞাত (মাজহুলুল হাল)’। তবে হাদীসের দ্বিতীয় অংশটি সহীহ, এর মজবুত শাহেদ দ্বারা।

বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ

১৩/২২৬৪: জারজ সন্তানের মালিকানা দাবী প্রসঙ্গে

তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ ইসলামে ব্যভিচারের সুযোগ নাই। যারা জাহিলিইয়াতের যুগে ব্যাভিচারে লিপ্ত হয়েছে এবং এর ফলে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে, ঐ সন্তান যেনাকারীর সাথে সম্পৃক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি যেনার সন্তানকে নিজের সন্তান বলে দাবী করবে, সে তার ওয়ারিস হবে না এবং উক্ত সন্তানও তার ওয়ারিস হবে না। [২২৬৪]

দুর্বলঃ যঈফ আল-জামি’উস সাগীর (৬৩১০)।

حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ سَلْمٍ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي الذَّيَّالِ - حَدَّثَنِي بَعْضُ، أَصْحَابِنَا عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ مُسَاعَاةَ فِي الإِسْلاَمِ مَنْ سَاعَى فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقَدْ لَحِقَ بِعَصَبَتِهِ وَمَنِ ادَّعَى وَلَدًا مِنْ غَيْرِ رِشْدَةٍ فَلاَ يَرِثُ وَلاَ يُورَثُ ‏"‏ ‏.‏

[২২৬৪] আহমাদ, বায়হাক্বী, হাকিম। আহমাদ শাকির বলেন : এর সানাদ দুর্বল। সাঈদ ইবনু জুবাইর সূত্রে বর্ণনাকারী সন্দেহভাজন হওয়ার কারণে। ইমাম হাকিম বলেন : বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ। কিন্তু ইমাম যাহাবী বলেন : আমি বলি, সম্ভবত হাদীসটি মাওযু (বানোয়াট), কেননা ইবনু খুসাইফকে হাদীস বিশারদগণ বর্জন করেছেন। তিনি সেই ব্যক্তি যিনি মু’তামার থেকে বর্ণনা করেছেন হাকিম বর্ণিত সানাদে। শায়খ আলবানী বলেন : সানাদে সাল্‌ম ও সাঈদের মাঝখানের শায়খের জাহালাতের কারণে এর সানাদ দুর্বল। এটিকেই ইঙ্গিত করেছেন আল্লামা মুনযিরী। তিনি বলেন : এর সানাদে একজন অজ্ঞাত লোক রয়েছে।

বর্ণনাকারীঃ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ

Showing 86 - 90 of 138 Hadiths
//
TOP