× CART

No item in cart.

সুনানে আবু দাউদ

পরিচ্ছদঃ ১৩ | হাদিসের বিষয়: তালাক

১৩/২২৬৫: জারজ সন্তানের মালিকানা দাবী প্রসঙ্গে

নাবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইসলামের প্রথম যুগে এরূপ ফায়সালা করতেন যে, প্রত্যেক উত্তরাধিকারী তার পিতার মৃত্যুর পর তার ওয়ারিস হবে যাকে সে ওয়ারিস হিসাবে স্বীকার করে। তিনি (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ ফায়সালাও দিতেনঃ প্রত্যেক দাসীর সন্তানকে সেই পাবে, যে ঐ দাসীর মালিক হয়ে তার সাথে সহবাস করেছে এবং সে সন্তানও ঐ ব্যক্তির সাথে সংযুক্ত হবে। ইতিপূর্বে যেসব সম্পদ বণ্টন হয়ে গেছে, এ সন্তান তা থেকে কোন অংশ পাবে না। আর যেগুলো ইতিপূর্বে বণ্টন হয়নি এ সন্তান তা থেকে অংশ প্রাপ্ত হবে। তবে পিতা তার জীবদ্দশায় সন্তানটিকে অস্বীকার করলে সন্তানটি তার সাথে সংযুক্ত হবে না। আর যদি সন্তান এমন দাসী থেকে জন্ম নেয়, যে ব্যাক্তি তার মালিক নয় কিংবা এমন স্বাধীন মহিলা থেকে জন্ম নেয়, যার সাথে সে যেনা করেছে, এমতাবস্থায় এ সন্তান ঐ ব্যক্তির সাথে সংযুক্ত হবে না এবং এ সন্তান তার উত্তরাধিকারও হবে না, যদিও সে ব্যক্তি দাবী করে। আর যাকে তার সাথে সংযুক্ত করা হয়, আর সেও সম্পর্কিত হয়, সে জারজ সন্তান, চাই সে দাসী কিংবা স্বাধীন নারীর গর্ভে জন্ম গ্রহণ করুক না কেন।

حَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ، ح وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَاشِدٍ، - وَهُوَ أَشْبَعُ - عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَضَى أَنَّ كُلَّ مُسْتَلْحَقٍ اسْتُلْحِقَ بَعْدَ أَبِيهِ الَّذِي يُدْعَى لَهُ ادَّعَاهُ وَرَثَتُهُ فَقَضَى أَنَّ كُلَّ مَنْ كَانَ مِنْ أَمَةٍ يَمْلِكُهَا يَوْمَ أَصَابَهَا فَقَدْ لَحِقَ بِمَنِ اسْتَلْحَقَهُ وَلَيْسَ لَهُ مِمَّا قُسِمَ قَبْلَهُ مِنَ الْمِيرَاثِ شَىْءٌ وَمَا أَدْرَكَ مِنْ مِيرَاثٍ لَمْ يُقْسَمْ فَلَهُ نَصِيبُهُ وَلاَ يُلْحَقُ إِذَا كَانَ أَبُوهُ الَّذِي يُدْعَى لَهُ أَنْكَرَهُ وَإِنْ كَانَ مِنْ أَمَةٍ لَمْ يَمْلِكْهَا أَوْ مِنْ حُرَّةٍ عَاهَرَ بِهَا فَإِنَّهُ لاَ يُلْحَقُ بِهِ وَلاَ يَرِثُ وَإِنْ كَانَ الَّذِي يُدْعَى لَهُ هُوَ ادَّعَاهُ فَهُوَ وَلَدُ زِنْيَةٍ مِنْ حُرَّةٍ كَانَ أَوْ أَمَةٍ ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ ‘আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

১৩/২২৬৬: জারজ সন্তানের মালিকানা দাবী প্রসঙ্গে

উক্ত সানাদে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। এতে অতিরিক্ত রয়েছেঃ ঐ সন্তান মায়ের জারজ সন্তান হিসেবে পরিচিতি পাবে, চাই সে নারী স্বাধীন অথবা কিংবা দাসী হোক। এ বিধান ইসলামে প্রাথমিক যুগে প্রযোজ্য ছিলো। আর ইসলামের পূর্বে যে সম্পদ বণ্টন হয়েছে তাতো গত হয়ে গেছে।

حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَاشِدٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ زَادَ وَهُوَ وَلَدُ زِنًا لأَهْلِ أُمِّهِ مَنْ كَانُوا حُرَّةً أَوْ أَمَةً وَذَلِكَ فِيمَا اسْتُلْحِقَ فِي أَوَّلِ الإِسْلاَمِ فَمَا اقْتُسِمَ مِنْ مَالٍ قَبْلَ الإِسْلاَمِ فَقَدْ مَضَى ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ মুহাম্মাদ ইবনু রাশিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ হাসান হাদিস

১৩/২২৬৭: দৈহিক গঠনের ভিত্তিতে সম্পর্ক নির্ণয় করা

তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হাস্যোজ্জ্বল অবস্থায় আমার কাছে আসলেন। তখন তাঁর চেহারার সন্তুষ্টির আভা ফুটে উঠেছিল। তিনি বললেনঃ হে ‘আয়িশাহ্‌! তুমি কি জানো? মুজুযযিয আল-মুদলিজী দেখতে পেয়েছে যে, যায়িদ এবং উসামাহ এক সাথে একটি চাদরে মাথা আবৃত করে রেখেছে, তাদের উভয়ের পা ছিলো খোলা। তখন সে বললো, এ পাগুলো পরস্পরের থেকে (অর্থাৎ রক্ত সম্পর্কীয়)। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, উসামাহ ছিলেন কালো বর্ণের আর যায়িদ গৌর বর্ণের।

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَعُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، - الْمَعْنَى - وَابْنُ السَّرْحِ قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مُسَدَّدٌ وَابْنُ السَّرْحِ يَوْمًا مَسْرُورًا وَقَالَ عُثْمَانُ يُعْرَفُ أَسَارِيرُ وَجْهِهِ فَقَالَ ‏ "‏ أَىْ عَائِشَةُ أَلَمْ تَرَىْ أَنَّ مُجَزِّزًا الْمُدْلِجِيَّ رَأَى زَيْدًا وَأُسَامَةَ قَدْ غَطَّيَا رُءُوسَهُمَا بِقَطِيفَةٍ وَبَدَتْ أَقْدَامُهُمَا فَقَالَ إِنَّ هَذِهِ الأَقْدَامَ بَعْضُهَا مِنْ بَعْضٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ كَانَ أُسَامَةُ أَسْوَدَ وَكَانَ زَيْدٌ أَبْيَضَ ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ ‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

১৩/২২৬৮: দৈহিক গঠনের ভিত্তিতে সম্পর্ক নির্ণয় করা

পূর্বোক্ত হাদীসের সানাদে ও অর্থে হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, তাঁর চেহারার সন্তুষ্টির আভা ফুটে উঠেছিল। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, ‘তাঁর চেহারার ঔজ্জ্বল্য’ কথাটি ইবনু ‘উয়াইনাহ সংরক্ষণ করেননি। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এটা ইবনু ‘উয়াইনাহ্ কর্তৃক তাদলীস। তিনি তা যুহরী হতে শুনেননি, বরং অন্য কারো থেকে শুনেছেন। লাইস প্রমূখের হাদীসে উক্ত কথাটি রয়েছে। ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, আমি আহমাদ ইবনু সালিহ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, উসামাহ (রাঃ) ছিলেন আলকাতরার মতো কালো, আর যায়িদ (রাঃ) ছিলেন তুলার মতো সাদা।

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، بِإِسْنَادِهِ وَمَعْنَاهُ قَالَ قَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ مَسْرُورًا تَبْرُقُ أَسَارِيرُ وَجْهِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَأَسَارِيرُ وَجْهِهِ ‏.‏ لَمْ يَحْفَظْهُ ابْنُ عُيَيْنَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ أَسَارِيرُ وَجْهِهِ هُوَ تَدْلِيسٌ مِنِ ابْنِ عُيَيْنَةَ لَمْ يَسْمَعْهُ مِنَ الزُّهْرِيِّ إِنَّمَا سَمِعَ الأَسَارِيرَ مِنْ غَيْرِ الزُّهْرِيِّ ‏.‏ قَالَ وَالأَسَارِيرُ مِنْ حَدِيثِ اللَّيْثِ وَغَيْرِهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَسَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ صَالِحٍ يَقُولُ كَانَ أُسَامَةُ أَسْوَدَ شَدِيدَ السَّوَادِ مِثْلَ الْقَارِ وَكَانَ زَيْدٌ أَبْيَضَ مِثْلَ الْقُطْنِ ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ ইবনু শিহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

১৩/২২৬৯: সন্তান নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে লটারী দ্বারা মীমাংসা করবে

তিনি বলেন, একদা আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট বসা ছিলাম। তখন ইয়ামান থেকে এক লোক এসে বললো, ইয়ামানের তিন ব্যক্তি একটি সন্তানের মালিকানা দাবী নিয়ে ‘আলী (রাঃ)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে বিবাদ করে, তারা সকলেই একই তুহুরে একটি মহিলার সাথে সঙ্গম করেছে। ‘আলী (রাঃ) তাদের মধ্যকার দু’জনকে বললেন, সন্তানটি তোমাদের মধ্যকার এই তৃতীয় ব্যক্তির। তাতে তারা ক্ষেপে গেলো। এবার তিনি অন্য দু’জনকে বললেন সন্তানটি তোমাদের এই তৃতীয় ব্যক্তির। তাতে তারাও রেগে গেলো। এবার তিনি অপর দু’জনকে বললেন, সন্তানটি তোমাদের মধ্যকার এই তৃতীয় ব্যক্তির। তাতে তারাও রাগান্বিত হলো। অতঃপর তিনি বললেন, তোমরা এই সন্তানের দাবী নিয়ে বিবাদ করছো। আমি লটারীর মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিবো। লটারীতে যার নাম উঠবে, সন্তানটি সেই পাবে, তবে সে অপর দু’জনকে এক-তৃতীয়াংশ ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করবে। অতঃপর তিনি তাদের মধ্যে লটারী দিলেন এবং যার নাম উঠলো সন্তানটি তাকেই প্রদান করলেন। ‘আলী (রাঃ)-এর এ দুরদর্শিতা দেখে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এমনভাবে হেসে উঠলেন যে, তাঁর সম্মুখের ও মাড়ির দাঁত পর্যন্ত প্রকাশিত হলো।

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنِ الأَجْلَحِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْخَلِيلِ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ كُنْتُ جَالِسًا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الْيَمَنِ فَقَالَ إِنَّ ثَلاَثَةَ نَفَرٍ مِنْ أَهْلِ الْيَمَنِ أَتَوْا عَلِيًّا يَخْتَصِمُونَ إِلَيْهِ فِي وَلَدٍ وَقَدْ وَقَعُوا عَلَى امْرَأَةٍ فِي طُهْرٍ وَاحِدٍ فَقَالَ لاِثْنَيْنِ مِنْهُمَا طِيبَا بِالْوَلَدِ لِهَذَا ‏.‏ فَغَلَيَا ثُمَّ قَالَ لاِثْنَيْنِ طِيبَا بِالْوَلَدِ لِهَذَا ‏.‏ فَغَلَبَا ثُمَّ قَالَ لاِثْنَيْنِ طِيبَا بِالْوَلَدِ لِهَذَا ‏.‏ فَغَلَبَا فَقَالَ أَنْتُمْ شُرَكَاءُ مُتَشَاكِسُونَ إِنِّي مُقْرِعٌ بَيْنَكُمْ فَمَنْ قُرِعَ فَلَهُ الْوَلَدُ وَعَلَيْهِ لِصَاحِبَيْهِ ثُلُثَا الدِّيَةِ ‏.‏ فَأَقْرَعَ بَيْنَهُمْ فَجَعَلَهُ لِمَنْ قُرِعَ فَضَحِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى بَدَتْ أَضْرَاسُهُ أَوْ نَوَاجِذُهُ ‏.‏

বর্ণনাকারীঃ যায়িদ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস

Showing 91 - 95 of 138 Hadiths
//
TOP