No item in cart.
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন মদীনায় আসেন তখন আনাস (রাঃ) দশ বছরের বালক। আমার মা-খালা তাঁর খেদমত করার জন্য আমাকে তাগিদ দিতেন। অতএব আমি দশ বছর যাবত তাঁর খেদমতে নিয়োজিত থাকি। তিনি যখন ইনতিকাল করেন তখন আমার বয়স বিশ বছর। তাই আমি পর্দার বিধান সম্পর্কে অন্যদের চেয়ে অধিক জ্ঞাত। অতএব রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যয়নব বিনতে জাহাশ (রাঃ)-কে বিবাহ করলে পর সর্বপ্রথম পর্দার বিধান সংক্রান্ত আয়াত নাযিল হয়। নববধূর সাথে রাত যাপনের পর তিনি ভোরে উপনীত হয়ে লোকজনকে আহারের দাওয়াত করেন। (ঐ দিন রাতে) তারা আহার সেড়ে চলে গেলো এবং কতক লোক মহানবী (সাঃ)-এর নিকট থেকে গেলো। তারা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলো। তাই তিনি একবার বাইরে যান আবার ভেতরে আসেন। আমিও তাঁর সাথে বাইরে গেলাম যাতে তারা চলে যায়। তিনি পায়চারি করতে থাকলেন, আমিও তাঁর সাথে পায়চারি করতে থাকলাম। এভাবে তিনি আয়েশা (রাঃ)-র ঘরের দরজার চৌকাঠ পর্যন্ত পৌঁছলেন। অতঃপর তিনি ধারণা করলেন যে, হয়তো তারা চলে গেছে। তাই তিনি ফিরে এলেন এবং আমিও ফিরে এলাম। তিনি যয়নব (রাঃ)-র ঘরে পৌঁছে দেখলেন যে, তারা বসেই আছে। অতএব তিনি আবার ফিরে এলেন এবং আমিও ফিরে এলাম। তিনি আয়েশা (রাঃ)-র ঘরের চৌকাঠ পর্যন্ত পৌঁছলেন। তিনি মনে করলেন যে, এবার তারা হয়তো চলে গেছে। তাই তিনি ফিরে এলেন এবং আমিও ফিরে এলাম। দেখা গেলো যে, তারা চলে গেছে। মহানবী (সাঃ) তাঁর ও আমার মাঝখানে পর্দা টানিয়ে দিলেন এবং পর্দা সংক্রান্ত বিধান নাযিল করা হলো। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী)
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ قَالَ: حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ: حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ: أَخْبَرَنِي أَنَسٌ، أَنَّهُ كَانَ ابْنَ عَشْرِ سِنِينَ مَقْدَمَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، فَكُنَّ أُمَّهَاتِي يُوَطِّوَنَّنِي عَلَى خِدْمَتِهِ، فَخَدَمْتُهُ عَشْرَ سِنِينَ، وَتُوُفِّيَ وَأَنَا ابْنُ عِشْرِينَ، فَكُنْتُ أَعْلَمَ النَّاسِ بِشَأْنِ الْحِجَابِ، فَكَانَ أَوَّلُ مَا نَزَلَ مَا ابْتَنَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِزَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ، أَصْبَحَ بِهَا عَرُوسًا، فَدَعَى الْقَوْمَ فَأَصَابُوا مِنَ الطَّعَامِ، ثُمَّ خَرَجُوا، وَبَقِيَ رَهْطٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَطَالُوا الْمُكْثَ، فَقَامَ فَخَرَجَ وَخَرَجْتُ لِكَيْ يَخْرُجُوا، فَمَشَى فَمَشَيْتُ مَعَهُ، حَتَّى جَاءَ عَتَبَةَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ، ثُمَّ ظَنَّ أَنَّهُمْ خَرَجُوا، فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ حَتَّى دَخَلَ عَلَى زَيْنَبَ، فَإِذَا هُمْ جُلُوسٌ، فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ حَتَّى بَلَغَ عَتَبَةَ حُجْرَةِ عَائِشَةَ، وَظَنَّ أَنَّهُمْ خَرَجُوا، فَرَجَعَ وَرَجَعْتُ مَعَهُ، فَإِذَا هُمْ قَدْ خَرَجُوا، فَضَرَبَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنِي وَبَيْنَهُ السِّتْرَ، وَأَنْزَلَ الْحِجَابَ
তিনি “পর্দার তিন সময়” সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য জন্তুযানে আরোহণ করে বনু হারিসা ইবনুল হারিস-এর সদস্য আবদুল্লাহ ইবনে সুয়াইদ (রাঃ)-র নিকট গেলেন। কারণ তিনি এই তিন সময়ের নিয়ম মেনে চলতেন। তিনি বলেন, তুমি কী জানতে চাও? আমি বললাম, আমি ঐ তিন সময়ের বিধান মেনে চলতে চাই। তিনি বলেন, দুপুরের সময় যখন আমি আমার পোশাকাদি খুলে রাখি তখন আমার পরিবারের কোন বালেগ সদস্য আমার অনুমতি ব্যতীত আমার নিকট প্রবেশ করতে পারে না। অবশ্য আমি যদি তাকে ডাকি, তবে এটাও তার জন্য অনুমতি। আর যখন ফজরের ওয়াক্ত হয় এবং লোকজনকে চেনা যায়, তখন থেকে ফজরের নামায পড়া পর্যন্ত সময়ও (কেউ অনুমতি ব্যতীত প্রবেশ করতে পারে নাসাঈ)। আর যখন আমি এশার নামায পড়ার পর পোশাক খুলে রেখে ঘুমানো পর্যন্ত (অনুমতি ব্যতীত প্রবেশ করে নাসাঈ) (ইসতীআব ও উসদুল গা বাযযার)।
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ ثَعْلَبَةَ بْنِ أَبِي مَالِكٍ الْقُرَظِيِّ، أَنَّهُ رَكِبَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُوَيْدٍ - أَخِي بَنِي حَارِثَةَ بْنِ الْحَارِثِ - يَسْأَلُهُ عَنِ الْعَوْرَاتِ الثَّلَاثِ، وَكَانَ يَعْمَلُ بِهِنَّ، فَقَالَ: مَا تُرِيدُ؟ فَقُلْتُ: أُرِيدُ أَنْ أَعْمَلَ بِهِنَّ، فَقَالَ: إِذَا وَضَعْتُ ثِيَابِي مِنَ الظَّهِيرَةِ لَمْ يَدْخُلْ عَلَيَّ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِي بَلَغَ الْحُلُمَ إِلَّا بِإِذْنِي، إِلَّا أَنْ أَدْعُوَهُ، فَذَلِكَ إِذْنُهُ. وَلَا إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ وَتَحَرَّكَ النَّاسُ حَتَّى تُصَلَّى الصَّلَاةُ. وَلَا إِذَا صَلَّيْتُ الْعِشَاءَ وَوَضَعْتُ ثِيَابِي حَتَّى أَنَامَ
আমি নবী (সাঃ)-এর সাথে হায়স (এক প্রকার মিষ্টি খাদ্য) খাচ্ছিলাম। তখন উমার (রাঃ) এলে তিনি তাকে ডাকলেন এবং তিনিও আহার করলেন। তার হাত আমার আঙ্গুল স্পর্শ করলে তিনি বলেন, তোমাদের ব্যাপারে বোধশক্তি কাজ করলে কোন চোখ তোমাদের দেখতে পেতো না। তখন পর্দার বিধান নাযিল হয়। (নাসাঈ)
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: كُنْتُ آكُلُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَيْسًا، فَمَرَّ عُمَرُ، فَدَعَاهُ فَأَكَلَ، فَأَصَابَتْ يَدُهُ إِصْبَعِي، فَقَالَ: حَسِّ، لَوْ أُطَاعُ فَيَكُنَّ مَا رَأَتْكُنَّ عَيْنٌ. فَنَزَلَ الْحِجَابُ
তিনি উম্মু হাবীব বিনতে কায়েস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, একই পাত্রে (আহারের সময়) রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর হাত আমার হাতে লেগে যায়। -(আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, আহমাদ, ইবনে আবু শায়বাহ, তাবারানী)
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي أُوَيْسٍ قَالَ: حَدَّثَنِي خَارِجَةُ بْنُ الْحَارِثِ بْنِ رَافِعِ بْنِ مَكِيثٍ الْجُهَنِيُّ، عَنْ سَالِمِ بْنِ سَرْجٍ مَوْلَى أُمِّ صَبِيَّةَ بِنْتِ قَيْسٍ وَهِيَ خَوْلَةُ، وَهِيَ جَدَّةُ خَارِجَةَ بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّهُ سَمِعَهَا تَقُولُ: اخْتَلَفَتْ يَدِي وَيَدُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي إِنَاءٍ وَاحِدٍ
আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, কেউ বসতিহীন ঘরে প্রবেশ করলে যেনো বলে, “আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস সালিহীন” (আমাদের উপর এবং আল্লাহর সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক)। -(ইবনে আবু শায়বাহ)
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ قَالَ: حَدَّثَنِي مَعْنٌ قَالَ: حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ قَالَ: إِذَا دَخَلَ الْبَيْتَ غَيْرَ الْمَسْكُونِ فَلْيَقُلِ: السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ