No item in cart.
আমি নবী (সাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। আমি তাকে বলতে শুনেছিঃ দুনিয়ার সৎকর্মশীলগণই আখেরাতে সৎকর্মশীল গণ্য হবে এবং দুনিয়ার পাপিষ্ঠরাই আখেরাতেও পাপিষ্ঠ গণ্য হবে (উসদুল গা বাযযার)।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ أَبِي هَاشِمٍ قَالَ: حَدَّثَنِي نُصَيْرُ بْنُ عُمَرَ بْنِ يَزِيدَ بْنِ قَبِيصَةَ بْنِ يَزِيدَ الْأَسَدِيُّ، عَنْ فُلَانٍ قَالَ: سَمِعْتُ بُرْمَةَ بْنَ لَيْثِ بْنِ بُرْمَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ قَبِيصَةَ بْنَ بُرْمَةَ الْأَسَدِيَّ قَالَ: كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَمِعْتُهُ يَقُولُ: «أَهْلُ الْمَعْرُوفِ فِي الدُّنْيَا هُمْ أَهْلُ الْمَعْرُوفِ فِي الْآخِرَةِ، وَأَهْلُ الْمُنْكَرِ فِي الدُّنْيَا هُمْ أَهْلُ الْمُنْكَرِ فِي الْآخِرَةِ»
---
[قال الشيخ الألباني] :
صحيح لغيره
তিনি রওনা হয়ে নবী (সাঃ)-এর নিকট গিয়ে উপস্থিত হলেন। তিনি তাঁর নিকট উপস্থিত থাকতেই নবী (সাঃ) তাকে চিনে ফেলেন। তিনি রওয়ানা হলে আমি মনে মনে বললাম, আল্লাহর শপথ আমি নবী (সাঃ)-এর নিকট যাবো এবং আমার জ্ঞানের পরিধি বাড়াবো। আমি হেঁটে হেঁটে তার নিকট গিয়ে তার সামনে দাড়ালাম। আমি বললাম, আপনি আমাকে কি কাজের নির্দেশ দিবেন? তিনি বলেনঃ হে হারমালা ! তুমি সৎকাজ করবে এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকবে। অতঃপর আমি ফিরে এসে আমার বাহনের নিকট এলাম, আবার ফিরে গিয়ে তার নিকট আমার স্থানে দাঁড়ালাম। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাকে কি কাজ করার নির্দেশ দিবেন? তিনি বলেনঃ “হে হারমালা! তুমি সৎকাজ করবে এবং পাপ কাজ বর্জন করবে। তুমি লক্ষ্য করো, তোমার কান কি শুনতে পছন্দ করে? তোমার সম্প্রদায় তোমার অনুপস্থিতিতে যা বললে তুমি আনন্দ পাও তা করো এবং তোমার অনুপস্থিতিতে তোমার সম্প্রদায় যা বললে তুমি অপছন্দ করো তা থেকে বিরত থাকো”। হারমালা (রাঃ) বলেন, আমি ফিরে এসে ভেবে দেখলাম, তা এমন দু’টি কথা, যাতে কিছুই বাদ পড়েনি (তায়ালিসী, আদাবুল মুহাদ্দিস, ইসা বাযযার)।
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ حَسَّانَ الْعَنْبَرِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا حِبَّانُ بْنُ عَاصِمٍ - وَكَانَ حَرْمَلَةُ أَبَا أُمِّهِ - فَحَدَّثَتْنِي صَفِيَّةُ ابْنَةُ عُلَيْبَةَ، وَدُحَيْبَةُ ابْنَةُ عُلَيْبَةَ - وَكَانَ جَدَّهُمَا حَرْمَلَةُ أَبَا أَبِيهِمَا - أَنَّهُ أَخْبَرَهُمْ، عَنْ حَرْمَلَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، أَنَّهُ خَرَجَ حَتَّى أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَكَانَ عِنْدَهُ حَتَّى عَرَفَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمَّا ارْتَحَلَ قُلْتُ فِي نَفْسِي: وَاللَّهِ لَآتِيَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى أَزْدَادَ مِنَ الْعِلْمِ، فَجِئْتُ أَمْشِي حَتَّى قُمْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ فَقُلْتُ مَا تَأْمُرُنِي أَعْمَلُ؟ قَالَ: «يَا حَرْمَلَةُ، ائْتِ الْمَعْرُوفَ، وَاجْتَنَبِ الْمُنْكَرَ» ، ثُمَّ رَجَعْتُ، حَتَّى جِئْتُ الرَّاحِلَةَ، ثُمَّ أَقْبَلْتُ حَتَّى قُمْتُ مَقَامِي قَرِيبًا مِنْهُ، فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، مَا تَأْمُرُنِي أَعْمَلُ؟ قَالَ: «يَا حَرْمَلَةُ، ائْتِ الْمَعْرُوفَ، وَاجْتَنَبِ الْمُنْكَرَ، وَانْظُرْ مَا يُعْجِبُ أُذُنَكَ أَنْ يَقُولَ لَكَ الْقَوْمُ إِذَا قُمْتَ مِنْ عِنْدِهِمْ فَأْتِهِ، وَانْظُرِ الَّذِي تَكْرَهُ أَنْ يَقُولَ لَكَ الْقَوْمُ إِذَا قُمْتَ مِنْ عِنْدِهِمْ فَاجْتَنِبْهُ» ، فَلَمَّا رَجَعْتُ تَفَكَّرْتُ، فَإِذَا هُمَا لَمْ يَدَعَا شَيْئًا
পৃথিবীর সৎকর্মশীল লোকেরাই আখেরাতে সৎকর্মশীল গণ্য হবেন। মহানবী (সাঃ) একথা বলেছেন।
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عُمَرَ قَالَ: حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ قَالَ: ذَكَرْتُ لِأَبِي حَدِيثَ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ، أَنَّهُ قَالَ: «إِنَّ أَهْلَ الْمَعْرُوفِ فِي الدُّنْيَا هُمْ أَهْلُ الْمَعْرُوفِ فِي الْآخِرَةِ» ، فَقَالَ: إِنِّي سَمِعْتُهُ مِنْ أَبِي عُثْمَانَ يُحَدِّثُهُ، عَنْ سَلْمَانَ، فَعَرَفْتُ أَنَّ ذَاكَ كَذَاكَ، فَمَا حَدَّثْتُ بِهِ أَحَدًا قَطُّ. حَدَّثَنَا مُوسَى قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِثْلَهُ
---
[قال الشيخ الألباني] : صحيح موقوفا وصحيح لغيره مرفوعا
নবী (সাঃ) বলেনঃ প্রতিটি সৎকাজ দান-খয়রাততুল্য (বুখারী, মুসলিম, হাকিম)।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كُلُّ مَعْرُوفٍ صَدَقَةٌ»
নবী (সাঃ) বলেছেনঃ প্রত্যেক মুসলমানের দান-খয়রাত করা ওয়াজিব। সাহাবীগণ বলেন, সে যদি তা করতে সক্ষম না হয় বা তা করতে না পারে? তিনি বলেনঃ তাহলে সে স্বহস্তে কাজ করে নিজেকে লাভবান করবে এবং দান-খয়রাত করবে। সাহাবীগণ বলেন, যদি তার সে সামর্থ্য না থাকে বা সে তা না করতে পারে? তিনি বলেনঃ তাহলে সে দুস্থ-বিপদগ্রস্তকে সাহায্য করবে। সাহাবীগণ বলেন, সে যদি তাও না করতে পারে? তিনি বলেনঃ তাহলে সে কল্যাণের বা সৎকাজের আদেশ দিবে। তারা বলেন, যদি সে তাও না করতে পারে? তিনি বলেনঃ তাহলে সে অপরের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকবে। এটাই তার জন্য দানস্বরূপ।-(বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ)
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ قَالَ: حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ أَبِي بُرْدَةَ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ صَدَقَةٌ» ، قَالُوا: فَإِنْ لَمْ يَجِدْ؟ قَالَ: «فَيَعْتَمِلُ بِيَدَيْهِ، فَيَنْفَعُ نَفْسَهُ، وَيَتَصَدَّقُ» ، قَالُوا: فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ، أَوْ لَمْ يَفْعَلْ؟ قَالَ: «فَيُعِينُ ذَا الْحَاجَةِ الْمَلْهُوفَ» ، قَالُوا: فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ؟ قَالَ: «فَيَأْمُرُ بِالْخَيْرِ، أَوْ يَأْمُرُ بِالْمَعْرُوفِ» ، قَالُوا: فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ؟ قَالَ: «فَيُمْسِكُ عَنِ الشَّرِّ، فَإِنَّهُ لَهُ صَدَقَةٌ»