No item in cart.
এক ব্যক্তি আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রাঃ)-এর রোগাক্রান্ত অবস্থায় তার নিকট আসলো। সে বললো, আপনি কেমন আছেন? আমীর পুরস্কৃত হোন! তিনি বলেন, তোমরা কি জানো, কিসের বিনিময়ে তোমরা পুরস্কার লাভ করো? সে বললো, আমাদের উপর অবাঞ্ছিত কিছু আপতিত হলে তার বিমিনয়ে। তিনি বলেন, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় যা ব্যয় করো এবং তোমাদের জন্য যা ব্যয় করা হয় তোমরা তার বিনিময় পাবে। অতঃপর তিনি হাওদা থেকে শুরু করে ঘোড়ার লাগাম পর্যন্ত অনেক কিছুর উল্লেখ করলেন। অতঃপর বলেন, কিন্তু তোমাদের দেহে যেসব অসুখ-বিসুখ হয় তার বিনিময়ে আল্লাহ তোমাদের গুনাহ ক্ষমা করেন -(আহমাদ, তাবারানী)।
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ الْعَلَاءِ قَالَ: حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَالِمٍ، عَنْ مُحَمَّدٍ الزُّبَيْدِيِّ قَالَ: حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَامِرٍ، أَنَّ غُطَيْفَ بْنَ الْحَارِثِ أَخْبَرَهُ، أَنَّ رَجُلًا أَتَى أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ، وَهُوَ وَجِعٌ، فَقَالَ: كَيْفَ أَمْسَى أَجْرُ الْأَمِيرِ؟ فَقَالَ: هَلْ تَدْرُونَ فِيمَا تُؤْجَرُونَ بِهِ؟ فَقَالَ: بِمَا يُصِيبُنَا فِيمَا نَكْرَهُ، فَقَالَ: إِنَّمَا تُؤْجَرُونَ بِمَا أَنْفَقْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَاسْتُنْفِقَ لَكُمْ، ثُمَّ عَدَّ أَدَاةَ الرَّحْلِ كُلَّهَا حَتَّى بَلَغَ عِذَارَ الْبِرْذَوْنِ، وَلَكِنَّ هَذَا الْوَصَبَ الَّذِي يُصِيبُكُمْ فِي أَجْسَادِكُمْ يُكَفِّرُ اللَّهُ بِهِ مِنْ خَطَايَاكُمْ
নবী (সাঃ) বলেনঃ মুসলিম বান্দার
উপর রোগ-শোক, দুঃখ-কষ্ট, দুর্ভাবনা যাই আসুক, এমনকি যে কাঁটা তার গায়ে বিধে তার বিনিময়ে আল্লাহ তার গুনাহসমূহ ক্ষমা করেন (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, আবু দাউদ)।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو قَالَ: حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، وَأَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَا يُصِيبُ الْمُسْلِمَ مِنْ نَصَبٍ، وَلَا وَصَبٍ، وَلَّاهَمٍّ، وَلَا حَزَنٍ، وَلَا أَذًى، وَلَا غَمٍّ، حَتَّى الشَّوْكَةُ يُشَاكُهَا، إِلَّا كَفَّرَ اللَّهُ بِهَا مِنْ خَطَايَاهُ»
তিনি বলেন, আমি সালমান (রাঃ)-এর সাথে ছিলাম। তিনি কিন্দায় এক রোগীকে দেখতে গেলেন। তিনি তার নিকট প্রবেশ করে বলেন, তুমি সুসংবাদ গ্রহণ করো। কেননা আল্লাহ মুমিন বান্দার রোগকে তার গুনাহসমূহের কাফফারা ও অনুশোচনাস্বরূপ গ্রহণ করেন। আর পাপাচারীর রোগ হলো এমন উটতুল্য যাকে তার মালিক বেঁধে রাখলো, অতঃপর ছেড়ে দিলো। অথচ সে জানে না যে, তারা কেন তাকে বাঁধলো এবং কেনই বা তাকে ছেড়ে দিলো।
حَدَّثَنَا مُوسَى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كُنْتُ مَعَ سَلْمَانَ، وَعَادَ مَرِيضًا فِي كِنْدَةَ، فَلَمَّا دَخَلَ عَلَيْهِ قَالَ: أَبْشِرْ، فَإِنَّ مَرَضَ الْمُؤْمِنِ يَجْعَلُهُ اللَّهُ لَهُ كَفَّارَةً وَمُسْتَعْتَبًا، وَإِنَّ مَرَضَ الْفَاجِرِ كَالْبَعِيرِ عَقَلَهُ أَهْلُهُ ثُمَّ أَرْسَلُوهُ، فَلَا يَدْرِي لِمَ عُقِلَ وَلِمَ أُرْسِلَ "
নবী (সাঃ) বলেনঃ ঈমানদার পুরুষ ও নারীর জান-মাল ও পরিবার-পরিজনের উপর বালা-মুসীবত লেগেই থাকে। অতঃপর সে মহামহিম আল্লাহর সাথে এমন অবস্থায় সাক্ষাত করে যে, তার কোন গুনাহই অবশিষ্ট থাকে না (তিরমিযী, আহমাদ)।
حَدَّثَنَا مُوسَى قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَدِيُّ بْنُ عَدِيٍّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَزَالُ الْبَلَاءُ بِالْمُؤْمِنِ وَالْمُؤْمِنَةِ، فِي جَسَدِهِ وَأَهْلِهِ وَمَالِهِ، حَتَّى يَلْقَى اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَمَا عَلَيْهِ خَطِيئَةٌ»
এক বেদুইন নবী (সাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলে তিনি তাকে বলেনঃ তোমাকে কি উম্মু মিলদাম স্পর্শ করেছে? সে বললো, উম্মু মিলদাম কি? তিনি বলেনঃ দেহের চামড়া ও গোশতের মধ্যবর্তী স্থানের উত্তাপ (জ্বর)। সে বললো, না। তিনি পুনরায় বলেনঃ তুমি কি সুদা আক্রান্ত হয়েছো? সে বললো, সুদা কি? তিনি বলেনঃ একটি বায়ু যা মাথায় অনুভূত হয় এবং তা শিরাসমূহে আঘাত করে। সে বললো, না। অতঃপর সে ব্যক্তি উঠে চলে গেলে তিনি বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন দোযখীকে দেখতে আগ্রহী সে যেন এই ব্যক্তিকে দেখে নেয় (হাকিম, ইবনে হিব্বান)।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: جَاءَ أَعْرَابِيٌّ، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ أَخَذَتْكَ أُمُّ مِلْدَمٍ؟» قَالَ: وَمَا أُمُّ مِلْدَمٍ؟ قَالَ: «حَرٌّ بَيْنَ الْجِلْدِ وَاللَّحْمِ» ، قَالَ: لَا، قَالَ: «فَهَلْ صُدِعْتَ؟» قَالَ: وَمَا الصُّدَاعُ؟ قَالَ: «رِيحٌ تَعْتَرِضُ فِي الرَّأْسِ، تَضْرِبُ الْعُرُوقَ» ، قَالَ: لَا، قَالَ: فَلَمَّا قَامَ قَالَ: «مَنْ سَرَّهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ النَّارِ» أَيْ: فَلْيَنْظُرْهُ