No item in cart.
নবী (সাঃ) ভোরে উপনীত হয়ে বলতেনঃ “আমরা ভোরে উপনীত হয়েছি এবং আল্লাহর রাজত্ব (সৃষ্টিকুল) ভোরে উপনীত হয়েছে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, তার কোন শরীক নাই। আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন ইলাহ নাই এবং পুনরুত্থান তার কাছে। তিনি সন্ধ্যায় উপনীত হয়ে বলতেনঃ “আমরা সন্ধ্যায় উপনীত হয়েছি। আল্লাহর রাজত্ব ভোরে উপনীত হয়েছে। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর এবং তার কোন শরীক নাই। আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই এবং তার কাছেই ফিরে যেতে হবে”। (আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, আহমাদ, ইবনে হিব্বান, আবু আওয়া নাসাঈ)
حَدَّثَنَا مُوسَى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا عُمَرُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَصْبَحَ قَالَ: «أَصْبَحْنَا وَأَصْبَحَ الْحَمْدُ كُلُّهُ لِلَّهِ، لَا شَرِيكَ لَهُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَإِلَيْهِ النُّشُورُ» ، وَإِذَا أَمْسَى قَالَ: «أَمْسَيْنَا وَأَمْسَى الْمُلْكُ لِلَّهِ، وَالْحَمْدُ كُلُّهُ لِلَّهِ، لَا شَرِيكَ لَهُ، لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَإِلَيْهِ الْمَصِيرُ»
---
[قال الشيخ الألباني] :
ضعيف بهذا اللفظ
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ মর্যাদাবানের পুত্র মর্যাদাবানের পুত্র মর্যাদাবানের পুত্র ইউসুফ ইবনে ইয়াকুব ইবনে ইসহাক ইবনে ইবরাহীম (আঃ), যিনি বরকতময় মহান আল্লাহর অন্তরঙ্গ বন্ধু। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ ইউসুফ (আঃ) যতো কাল কারাগারে ছিলেন আমি যদি ততো কাল কারাগারে থাকতাম এবং অতঃপর রাজদূত আমার নিকট এসে আহবান জানালে আমি (তার ডাকে) সাড়া দিতাম। অতঃপর তিনি নিম্নোক্ত আয়াত পড়েন (অনুবাদ) : “রাজদূত যখন তার নিকট উপস্থিত হলো তখন সে বললো, তুমি তোমার মনিবের নিকট ফিরে যাও এবং তাকে জিজ্ঞেস করো, যে নারীরা নিজেদের হাত কেটেছিলো তাদের অবস্থা কি” (সূরা ইউসুফ : ৫০)। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ লুত (আঃ)-এর উপর আল্লাহর রহমাত বর্ষিত হোক। তিনি মজবুত দুর্গে আশ্রয় গ্রহণের আকাঙ্খা করেছিলেন। তিনি তাঁর কাওমকে বললেন, “তোমাদের উপর যদি আমার জোর খাটতো অথবা যদি আমি কোন সুদৃঢ় দুর্গের আশ্রয় নিতে পারতাম” (সূরা হূদ : ৮০)। তার পর থেকে আল্লাহ যে কোন জাতির মর্যাদাবান ও প্রভাবশালী গোষ্ঠীর মধ্য থেকেই নবীগণকে পাঠিয়েছেন। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, আহমাদ)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَّامٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا عَبْدَةُ قَالَ: أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ الْكَرِيمَ ابْنَ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ ابْنِ الْكَرِيمِ، يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ خَلِيلِ الرَّحْمَنِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى» ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " لَوْ لَبِثْتُ فِي السِّجْنِ مَا لَبِثَ يُوسُفُ، ثُمَّ جَاءَنِي الدَّاعِي لَأَجَبْتُ، إِذْ جَاءَهُ الرَّسُولُ فَقَالَ: {ارْجِعْ إِلَى رَبِّكَ فَاسْأَلْهُ مَا بَالُ النِّسْوَةِ اللَّاتِي قَطَّعْنَ أَيْدِيَهُنَّ} [يوسف: 50] ، وَرَحْمَةُ اللَّهِ عَلَى لُوطٍ، إِنْ كَانَ لَيَأْوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ، إِذْ قَالَ لِقَوْمِهِ: {لَوْ أَنَّ لِي بِكُمْ قُوَّةً أَوْ آوِي إِلَى رُكْنٍ شَدِيدٍ} [هود: 80] ، فَمَا بَعَثَ اللَّهُ بَعْدَهُ مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا فِي ثَرْوَةٍ مِنْ قَوْمِهِ " قَالَ مُحَمَّدٌ: الثَّرْوَةُ: الْكَثْرَةُ وَالْمَنَعَةُ.
রবী (র) প্রতি জুমুআর দিন আলকামা (র)-এর নিকট আসতেন। আমি তথায় উপস্থিত না থাকলে তারা আমার জন্য লোক পাঠিয়ে দিতেন। একদা রবী (র) এলেন। কিন্তু আমি তথায় উপস্থিত ছিলাম না। তাই আলকামা (র) আমার সাথে সাক্ষাত করে আমাকে বলেন, তুমি কি দেখেছো রবী কি নিয়ে এসেছে? তিনি বলেন, আপনি কি লক্ষ্য করেন নাসাঈ, লোকে প্রচুর দোয়া করে কিন্তু তাদের দোয়া কতো কম কবুল হয়? তার কারণ এই যে, মহামহিম আল্লাহ অন্তর নিঃসৃত দোয়া ছাড়া কবুল করেন না। আমি বললাম, আবদুল্লাহ (রাঃ)-ও কি তাই বলেননি? তিনি জিজ্ঞেস করেন, তিনি কি বলেছেন? তিনি বলেন, আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, আল্লাহ এমন লোকের দোয়া কবুল করেন নাসাঈ, যে লোককে শুনাবার জন্য, প্রদর্শনীর জন্য এবং অভিনয়ের ভঙ্গিতে দোয়া করে। কিন্তু যে ব্যক্তি অন্তরের অন্তস্থল থেকে দোয়া করে তিনি তার দোয়া কবুল করেন। রবী বলেন, আলকামা (র)-এর স্মরণ হলে তিনি বলেন, হাঁ (তিনি তাই বলেছেন)।
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ: حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ قَالَ: حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ: كَانَ الرَّبِيعُ يَأْتِي عَلْقَمَةَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، فَإِذَا لَمْ أَكُنْ ثَمَّةَ أَرْسَلُوا إِلَيَّ، فَجَاءَ مَرَّةً وَلَسْتُ ثَمَّةَ، فَلَقِيَنِي عَلْقَمَةُ وَقَالَ لِي: أَلَمْ تَرَ مَا جَاءَ بِهِ الرَّبِيعُ؟ قَالَ: أَلَمْ تَرَ أَكْثَرَ مَا يَدْعُو النَّاسَ، وَمَا أَقَلَّ إِجَابَتَهُمْ؟ وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ لَا يَقْبَلُ إِلَّا النَّاخِلَةَ مِنَ الدُّعَاءِ، قُلْتُ: أَوَ لَيْسَ قَدْ قَالَ ذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ؟ قَالَ: وَمَا قَالَ؟ قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ: لَا يَسْمَعُ اللَّهُ مِنْ مُسْمِعٍ، وَلَا مُرَاءٍ، وَلَا لَاعِبٍ، إِلَّا دَاعٍ دَعَا يَثْبُتُ مِنْ قَلْبِهِ، قَالَ: فَذَكَرَ عَلْقَمَةَ؟ قَالَ: نَعَمْ
[قال الشيخ الألباني] :
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ তোমাদের কেউ যখন দোয়া করে তখন সে যেন এরূপ না বলে, যদি তুমি চাও (তবে আমার দোয়া কবুল করো)। বরং সে যেন দৃঢ়তার সাথে এবং পরম আগ্রহভরে দোয়া করে। কেননা কিছু দান করা আল্লাহর কাছে বিরাট কিছু নয়। (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, ইবনে হিব্বান, আওয়া নাসাঈ)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، عَنِ الْعَلَاءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: " إِذَا دَعَا أَحَدُكُمْ فَلَا يَقُولُ: إِنْ شِئْتَ، وَلْيَعْزِمِ الْمَسْأَلَةَ، وَلْيُعَظِّمِ الرَّغْبَةَ، فَإِنَّ اللَّهَ لَا يَعْظُمُ عَلَيْهِ شَيْءٌ أَعْطَاهُ "
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ দোয়া করলে দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে করবে। দোয়ায় এরূপ বলবে না যে, হে আল্লাহ! যদি তুমি চাও তবে আমাকে দাও। কেননা আল্লাহকে বাধ্য করার কেউ নাই। (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, আহমাদ)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَّامٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " إِذَا دَعَا أَحَدُكُمْ فَلْيَعْزِمْ فِي الدُّعَاءِ، وَلَا يَقُلِ: اللَّهُمَّ إِنْ شِئْتَ فَأَعْطِنِي، فَإِنَّ اللَّهَ لَا مُسْتَكْرِهَ لَهُ "